দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- পশ্চিমবঙ্গে বাড়ল করোনার বিধিনিষেধের মেয়াদ | আগামী ১৫ অগস্ট পর্যন্ত তা কার্যকর হবে | এবারও লোকাল ট্রেন চালুর অনুমতি দিল না নবান্ন | সেইসঙ্গে রাত ন’টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত চলাফেরায় যে বিধিনিষেধ ছিল, তাতে আরও কড়াকড়ি করেছে নবান্ন |
বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিযে রুদ্ধদ্বার সরকারি অনুষ্ঠান করা যাবে |এছাড়াও মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ববিধি-সহ যাবতীয় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধি মেনে চলতে হবে |
স্বাস্থ্য, আইন-শৃঙ্খলা, কৃষিকাজে উৎপাদিত দ্রব্য-সহ জরুরি পরিষেবা ছাড়া রাত ন’টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত চলাফেরার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ বজায় থাকবে |
একনজরে দেখে নিন কী কী নিয়মবিধি থাকছে –
- রাজ্যের মধ্যে বাস, অটো, ট্যাক্সি, ক্যাব, ট্রাম এবং জলপরিবহন চালু থাকবে | সর্বাধিক ৫০ শতাংশ যাত্রী উঠতে পারবেন| চালক এবং কর্মীদের টিকা নিতে হবে|
- স্কুল, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র-সহ যাবতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে|
- লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে | শুধুমাত্র স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলবে |
- সাধারণ যাত্রীদের জন্য সপ্তাহে পাঁচদিন মেট্রো চলাচল করবে | শনিবার এবং রবিবার বন্ধ থাকবে মেট্রো পরিষেবা|
- সকাল ৬ টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত প্রাতঃভ্রমণ এবং ব্যায়ামের জন্য পার্ক খোলা থাকবে | শুধুমাত্র টিকাপ্রাপ্তরা ঢুকতে পারবেন|
- সিনেমা হল এবং স্পা বন্ধ থাকবে |সুইমিং পুল বন্ধ থাকবে | তবে রাজ্য, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের সাঁতারুদের জন্য সকাল ৬ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত সুইমিং পুল খোলা থাকবে|
- আগে সব দোকান এবং বাজার দোকান যেমন খোলা হত, তেমনভাবেই খোলা যাবে |এবার থেকে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত ব্যাঙ্ক খোলা রাখা যাবে|
- আগে যেমন খোলা থাকত, সেই সময় হোটেল, শপিং মল এবং ক্লাবের রেস্তোরাঁ ও পানশালা খোলা যাবে | তবে রাত আটটার পর রেস্তোরাঁ ও পানশালা খুলে রাখা যাবে না|
- শপিং মল এবং মার্কেট কমপ্লেক্সের খুচরো দোকান সাধারণ সময় যেমন খোলা থাকত, তেমনই খোলা রাখা যাবে | তবে ৫০ শতাংশ লোকবল থাকবে। একই সময় সর্বাধিক ৫০ শতাংশ ক্রেতা বা মানুষ ঢুকতে পারবেন |
- সকাল ৬ টা থেকে সকাল ৯ টা এবং বিকেল ৪ টে থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত জিম খোলা থাকবে | ৫০ শতাংশ মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন |
- সাধারণ সময়মতো সেলুন, বিউটি পার্লার খোলা থাকবে| ৫০ শতাংশ মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন |
- দর্শকছাড়া স্টেডিয়াম বা স্পোর্টস কমপ্লেক্স খেলা হতে পারে|
- সর্বাধিক ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কারখানা, মিল এবং তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ চলতে পারে |
- ই-কমার্স ও হোম ডেলিভারি চালু থাকবে |
এটা বোঝা গেল যত চাপই আসুক না কেন কোভিডের তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে মরিয়া রাজ্য সরকার | সেই ঢেউয়ের মুখে পড়ে যাতে রাজ্যে প্রাণহানির ঘটনা বেশি না হয় তার জন্য এখন থেকেই সতর্ক হয়ে চলতে চাইছে রাজ্য সরকার |