নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :- বিধানসভার অধ্যক্ষ কি আদৌ ডেকে পাঠাতে পারেন ইডি বা সিবিআই আধিকারিকদের? সেই প্রশ্নের কোনও সমাধান হল না কলকাতা হাইকোর্টে | নারদকাণ্ডে সিবিআই ও ইডি রাজ্যের দুই মন্ত্রী সহ ৩জন বিধায়ককে চার্জশিট দিয়েছিল | চার্জশিটে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রের নাম ছিল |এ নিয়েই আপত্তি তুলেছিল বিধানসভার সচিবালয় |স্পিকারের অনুমতি নেওয়া হয়নি একথা উল্লেখ করে ইডি ও সিবিআইকে তলব করেছিলেন বিধানসভার স্পিকার | এ নিয়ে জল অনেকদূর গড়ায় | তবে শেষপর্যন্ত এভাবে স্বতন্ত্র কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে তলব করার এক্তিয়ার বিধানসভার স্পিকারের রয়েছে কি না এনিয়েই প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা| এবার দেখা যাক সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঠিক কী পর্যবেক্ষণ আদালতের? আদালত সূত্রে খবর, শেষ পর্যন্ত যাবতীয় বিতর্ককে কার্যত সরিয়ে রেখে কাজে মন দিতে বললেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে | শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘রাজনৈতিক ঝগড়া যথেষ্ট হয়েছে | স্পিকার, সিবিআই, ইডি দ্বৈরথও যথেষ্ট হয়েছে। সব ভুলে কাজে মন দিন |’ তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে মন দিতে বলেছে আদালত| কিন্তু বিধানসভার স্পিকার আদৌ এভাবে তদন্তকারী সংস্থাকে ডেকে পাঠাতে পারেন কি না সেই প্রশ্নের কোনও নিষ্পত্তি হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে | এর সঙ্গেই সূত্রের খবর, আগামী দিনে যদি স্পিকার ফের, সিবিআই বা ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ডেকে পাঠায় তবে কী তারা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবে? এক্ষেত্রে অবশ্য আদালতের দরজা সিবিআই-ইডির জন্য খুলে রাখা হয়েছে |