প্রসেনজিৎ ধর :-ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (ন্যাক)-এর মূল্যায়নে আবার বি-প্লাস গ্রেড পেল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় | অবনমন ঠেকাতে ব্যর্থ হল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।২০১৫ সালে ন্যাশনাল অ্যাসিসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের রিপোর্টে বি প্লাস গ্রেড পেয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়| যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল শিক্ষামহলে | ২০২০ সালে ন্যাকের আসার কথা থাকলেও করোনার জন্য তারা আসতে পারেনি | এছাড়া, সম্প্রতি NIRF-এর রিপোর্টেও শিক্ষার মান কমেছে বিশ্বভারতীর | তাই এবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছ | গত ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্বভারতী পরিদর্শন করে ন্যাকের প্রতিনিধিরা | তাঁরা আসার আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি নেওয়া হয় | বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এর আগে যুক্তি দিয়েছিল, ন্যাকের মূল্যায়ন সম্পর্কে তাঁদের সম্যক ধারণা ছিল না | কিন্তু এবার চূড়ান্ত প্রস্তুতি এবং গোপনীয়তা রেখেও এই অবস্থা | বি প্লাস গ্রেড পাওয়ার পাশাপাশি ২০১৫ সালে বিশ্বভারতীর পয়েন্ট ছিল ২.৮২ | এবার তা হয়েছে ২.৭৫ | কিন্তু এবার প্রথম থেকেই সতর্ক থেকেও ন্যাক-এর মূল্যায়নে কোনও উত্তরণ না ঘটায় ফের সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিশ্বভারতী | পুরো বিষয়টি সামনে আসতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলেছে অধ্যাপকদের সংগঠন ভিবিউফা | তাদের অভিযোগ, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজের ইচ্ছামতো বিশ্ববিদ্যালয় চালাচ্ছেন | যাকে ইচ্ছা হচ্ছে তাকেই সাসপেন্ড করছেন | নিজের স্তাবকদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে গিয়ে সিংহভাগ অধ্যাপকদের দূরে সরিয়ে রেখেছেন, সে কারণে এই অবনমন |