প্রসেনজিৎ ধর, হুগলি :- একটা অ্যাম্বুল্যান্সই চুরি হয়ে গেল? চুরি না বলে বলা ভালো কেউ তা বিক্রি করে দিয়েছে?সেই কেউ আবার যে সে নয়, সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষ | অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের মদতেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে সাধারণের ব্যবহারের জন্য দেওয়া ওই অ্যাম্বুলেন্স| যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা | এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়ার দিলাকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতে| স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে বিধায়ক তহবিল থেকে একটি অ্যাম্বুল্যান্স দিয়েছিলেন তৎকালীন সিপিএম বিধায়ক সুদর্শন রায়চৌধুরী | পঞ্চায়েত এলাকার মানুষকে পরিষেবা দিত এই অ্যাম্বুলেন্সটি | হঠাৎ করেই সেই অ্যাম্বুল্যান্স বেপাত্তা হয়ে যায় | এলাকার মানুষ অসুস্থ হয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের খোঁজ করলে পঞ্চায়েত জানায়, খারাপ হয়ে পড়ে আছে সেটি | গত তিন-চার বছর ধরে সেই অ্যাম্বুল্যান্সটি পঞ্চায়েতের যেখানে রাখা থাকত, সেখানে আর দেখা যাচ্ছে না | উধাও হয়ে যাওয়া অ্যাম্বুল্যান্সের হদিশ মিলতেই চক্ষু চড়কগাছ এলাকাবাসীর | জানা গেল, সেই অ্যাম্বুল্যান্স বেচে নাকি ব্যক্তিগত গাড়ি কিনেছেন জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত ও পরিবহণ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ শেখ আব্দুল | তৃণমূল নেতার এহেন কাণ্ডকারখানায় ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী | যদিও শেখ আব্দুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘কে বিক্রি করেছে, তা জানি না | আমি পঞ্চায়েতের কেউ নই | অভিযোগ যখন উঠেছে, আমাকে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে | যদি আমি দোষী হই, তাহলে শাস্তি মাথা পেতে নেব |’পঞ্চায়েতের কী ভূমিকা, তার খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত প্রধান সাগরিকা বাড়ুই কোনও সদুত্তর না দিয়ে একপ্রকার মুখ ঢাকা দিয়ে পঞ্চায়েত থেকে বেরিয়ে যান |স্থানীয়দের অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্স বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে জেনেও শাসকদলের নেতাদের ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না | পঞ্চায়েত থেকেও সাধারণ মানুষকে কিছু জানানো হয় না |