দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- ভালোবাসার টানে মেক্সিকো থেকে হাওড়ায় বাঙালি প্রেমিকের টানে ছুটে এসেছেন লেসলি,আইনীভাবে সারলেন বিয়েও |জানা যায়, হাওড়ার বালি দুর্গাপুর সাহেববাগান এলাকার বাসিন্দা অরিজিৎ ভট্টাচার্য | পেশায় বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত | অরিজিতের বাবা বিনায়ক ভট্টাচার্য অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী, মা কাকলী ভট্টাচার্য গৃহবধূ | করোনার শুরুতে ওয়ার্ক ফ্রম হোম শুরু করেন অরিজিৎ | কাজের পাশাপাশি সময় কাটাতে সোশ্যাল মিডিয়াই ছিল তখন একমাত্র ভরসা | এখান থেকেই আলাপ হয় মেক্সিকোর বাসিন্দা লেসলি ডেলগাডো’র সঙ্গে | সেই পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম| ফোন নম্বর, ফেসবুক আইডি ও ঠিকানা বিনিময় থেকে ধীরে ধীরে সম্পর্ক এগোতে থাকে | গভীর হয় তাদের সম্পর্ক | দেখা করার জন্য মন আকুল বিকুল করতে থাকে কিন্তু উপায় নেই | কোভিডের ঢেউ আছড়ে পড়ে সারা বিশ্বে | তখনই বন্ধ হয়ে যায় ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট| ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে| এরপরই সোজা মেক্সিকো থেকে হাওড়ায় অরিজিৎ-এর বাড়িতে কিছুদিন আগেই হাজির হয়েছেন লেসলি | এই বিষয়ে অরিজিৎ জানান, কথাবার্তা বলে তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন | গত ১৯ জুন তাঁদের রেজিস্ট্রি হয়েছে |
আগামী ৫ জুলাই সাত পাকে বাঁধা পড়বেন দুজনে | লেসলি জানায় এই বিয়ে নিয়ে সে প্রচন্ড এক্সাইটেড | তবে ভীষণ খুশি অরিজিৎকে সারাজীবনের জন্য কাছে পেয়ে |অরিজিৎ-এর বিনায়কবাবু জানান, হবু বৌমা লেসলি অত্যন্ত ভালো মেয়ে | সবাইকে আপন করে নিয়েছে সে | ইংরেজি ও বাংলা শিখছে ভালোভাবে আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলার জন্য | অরিজিৎও স্প্যানিশ ভাষা শিখছে লেসলির সঙ্গে কথা বলার জন্য | অক্টোবর মাস পর্যন্ত হাওড়াতেই থাকবে দুজনে | এরপর মেক্সিকো যাবে তারা | সেখানেই সামাজিক অনুষ্ঠান হবে | তারপর ঠিক হবে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা |