দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- শনিবার সকালে ইডির তল্লাশি অভিযান শুরু হয় মানিক ভট্টাচার্যের মহিষবাথানের অফিসে। এদিন তদন্তকারী দল কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যায় মহিষবাথানের একটি অফিসের সামনে। এই অফিস ঘরটি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্যের এক ঘনিষ্ঠের নামে নেওয়া ছিল। তবে অফিসটির চাবি পাওয়া যায়নি। তাই তালা ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হয়। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এই অফিস ভাড়া নিয়ে টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার চালাতেন মানিকের ঘনিষ্ঠ। যদিও গত দু’মাস আগে হঠাৎ এই অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরিয়ে নেওয়া হয় ট্রেনিং সেন্টার লেখা বোর্ডও। ইডি সূত্রে খবর, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে এই প্রতিষ্ঠানটির যোগ থাকতে পারে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে এই ট্রেনিং সেন্টারের মালিকের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তাই এই টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার থেকে টাকার বিনিময়ে কাউকে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। শনিবার সকালে মহিষবাথানর ওই ট্রেনিং সেন্টারে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। প্রথমে গোয়েন্দারা দেখেন, তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছে সেন্টারটির অফিস। এরপর চাবি খোঁজার চেষ্টা করেও তা পাননি তদন্তকারীরা। পরে চাবি ভেঙে অফিসের ভেতরে ঢুকে তল্লাশি শুরু করেন ইডি আধিকারিকরা। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই অফিস তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে ওই অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু ছবি। এছাড়া নানা ধরনের নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে। ব্যাঙ্কের স্লিপ ও বেশ কয়েকটি খাম পাওয়া গিয়েছে।এখানে এসে ইডির অফিসাররা জানতে পারেন, যে সংস্থার নামে এই ট্রেনিং সেন্টারটি চলত, সেটি হল—মিনার্ভা এডুকেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। এই সংস্থার অন্তর্গত একাধিক ডিএলএড কলেজ রয়েছে। এবার এই অফিসে হানা দিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে এসেছে। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মানিককে গ্রেফতার করে ইডি। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ইডি হেফাজতে রয়েছেন মানিক।