প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- প্রাথমিকে আরও চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার চাকরি যাচ্ছে আরও ১৪০ জনের। ওই ১৪০ জনের কারও হলফনামা নেওয়া হবে না। ওইসব শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সবার হলফনামায় কীভাবে বোর্ডের মেসেজের একই স্ক্রিন শট? প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি। শিল্পা চক্রবর্তী নামে এক টেট পরীক্ষার্থী বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে দাবি করেন, ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। ফোনে বলা হয়, ‘‘পর্ষদের অফিস থেকে বলছি। আপনি কি টেট পরীক্ষা দিয়েছেন? চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু তার জন্য পর্ষদের অফিসে আসতে হবে। দেখাও করতে হবে পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে।’’ কোন পর্ষদের অফিসে যাওয়ার কথা বলছেন তা অবশ্য যিনি ফোন করেছিলেন তিনি স্পষ্ট করে বলেননি। তবে মনে করা হচ্ছে যেহেতু শিল্পা টেট পরীক্ষার্থী ছিলেন তাই হয়তো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কথাই বলবেন।এদিকে, বুধবার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও ১৪০ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগে ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছিল। এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও ১৪০ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল এবং তাঁদের বেতন বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রইলেন। অর্থাৎ মোট ১৯৩ জনের চাকরি বাতিল করা হল।হালফনামায় মেসেজের ওই স্ক্রিনশর্ট নিয়ে বিচারপতির মন্তব্য, আদালতের সঙ্গে ট্রিক খেলবেন না। ওই মন্তব্যের পর ওই ১৪০ জনের নিয়োগ বাতিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাশাপাশি এও বলা হয় ওইসব শিক্ষকরা যাতে বেতন না পায় তাও সুনিশ্চিত করতে হবে। তবে ওই ২৬৮ জনের মধ্যে ২ জন চাকরি ফেরত পেয়েছেন। আগামিকাল বাকীরা হলফনামা জমা দেবেন। প্রসঙ্গত, মঙ্লবার ৫৪ জন তাদের চাকরির স্বপক্ষে হলফনামা দেন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি আদালত। এদিকে, প্রাথমিকে দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের স্ক্যানারে ‘পর্ষদের’ একটি ফোন নম্বর। এ নিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ওই ফোন নম্বরটি কার, কোথা থেকে এসেছিল, খতিয়ে দেখবে সিবিআই।