প্রসেনজিৎ ধর :- মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করেছিলেন বাবা। আর এর জেরেই দুষ্কৃতীদের হাতে পিটিয়ে খুন হতে হল ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শ্যামপুরের নস্করপুর এলাকায়। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবী তুলেছেন তারা।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার নস্করপুরের বাসিন্দা ওই পড়ুয়া রবিবার সন্ধেয় গোবিন্দপুর এলাকায় প্রাইভেট টিউশন পড়তে গিয়েছিল |
রাত ন’টা নাগাদ টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল। অভিযোগ, সেই সময় তার পথ আটকায় ৩ মদ্যপ যুবক। অভিযোগ, ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়। ওই পড়ুয়া বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে বিষয়টা জানায়। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হন তিনি। রবিবার রাতেই ওই দুষ্কৃতীদের কাছে যান নাবালিকার বাবা। ঘটনার প্রতিবাদ করেন।অভিযোগ, সেই সময়ই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁকে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয় একটি মাঠে। সেখানে আরও মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা ও প্রতিবেশীরা ছুটে যান। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে ঝুমঝুমি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেই তিনি ভর্তি ছিলেন। সোমবার বিকেলে তিনি মারা যান |শ্যামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। নিহতের মেয়ের অভিযোগ, ‘সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় তিন যুবক আমার হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে। আর খারাপ ভাষায় আমাকে ডাকে। তখন আমার চিৎকার শুনে বাবা ছুটে আসে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওরা বাবাকে টেনে নিয়ে মারধর করতে থাকে।’ নিহতের স্ত্রী জানান, স্বামী প্রত্যেকদিনই মেয়েকে কোচিং থেকে আনতে যান। রবিবারও গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার সময় টিন্টন, টিটন এবং শান্তনু নামে এলাকার তিন যুবক এই কাজ করে মেয়ের সঙ্গে। সেটার প্রতিবাদ করলে স্বামীর উপর হামলা চালানো হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব স্থানীয়রা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।