প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দিয়েছিলেন নবম দশম এ ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাওয়াদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার। এরপর স্কুল সার্ভিস কমিশন ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। এবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন চাকরি হারানোরা। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছেন তাঁরা।এবার বিচারপতিরা পড়ছেন বিপাকে। কারণ তাঁরাই চাকরি খারিজের নির্দেশ দিচ্ছেন। আর যাঁদের চাকরি যাচ্ছে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়ে পাল্টা মামলা করছেন। নবম–দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ ওঠায় চাকরি বাতিল হয়েছিল বহু শিক্ষকের। আর এই মামলায় আজ, সোমবার ডিভিশন বেঞ্চে ৯৫২ জন শিক্ষক আপিল মামলা করেছেন। অভিযোগ এই ৯৫২ জন শিক্ষক উত্তরপত্র বিকৃত করেছিলেন।
এই ৯৫২ জন শিক্ষকের ওএমআর শিট গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করেছিল সিবিআই বলে আদালতকে জানানো হয়। আর স্কুল সার্ভিস কমিশন ৮০৫ জনের ওএমআর শিট খতিয়ে দেখে বিকৃত করা হয়েছে বলে স্বীকার করে নেয়। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টকে তাঁরাই এই তথ্য দেয়। তখন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ তাঁরাই ডিভিশন বেঞ্চে।কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু কমিশনকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার বিচারপতি বসুর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন মামলাকারীরা। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছেন চাকরি হারানোরা।