দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বামেদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু । আর সেই চ্যালেঞ্জের জেরে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে লাল শিবির। কেননা ব্রাত্য জানিয়েছেন, বাম আমলে পার্টি ধরে কত চাকরি হয়েছে, তার হিসেব তৃণমূল শ্বেতপত্র আকারে পেশ করবে। ব্রাত্য বসু গতকাল বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা সেল এবং কাউন্সিলরদের বলেছি, ১৯৯৭ সাল, যখন থেকে এসএসসি শুরু হয়েছে, সেই সময় একটি নির্দিষ্ট দলের হোলটাইমারদের মধ্যে কারা কারা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের পরিবারের কোন কোন সদস্যরা চাকরি পেয়েছেন, তার একটা তালিকা তৈরি করতে হবে। তার শ্বেতপত্র আমরা প্রকাশ করব।’ এই আবহে বামেদের দাবি, শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক। যদি কোনও দুর্নীতি থাকে, কোন শিক্ষামন্ত্রীর আমলে তা হয়েছে, তাও প্রকাশ করা হোক।এদিকে ব্রাত্য নিজের চাকরি পাওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের সময়ে নির্দিষ্ট ছাত্র সংগঠন না করলে স্কুলে চাকরি পাওয়া যেত না। আমার এম এ পাশ করা ছিল এবং নেট পাশ করা ছিল বলে কলেজে শিক্ষকতা পেতে অসুবিধা হয়নি। আমার বহু বন্ধু ও পরিচিত আছেন, যাঁরা একটি নির্দিষ্ট ছাত্র সংগঠন করতেন।’ এদিকে ‘চিরকুট সুপারিশ’ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, ‘শ্বেতপত্রের জন্য তালিকা তৈরিতে সবকিছুই বিবেচনা করা হবে।
লোকাল কমিটি, জোনাল কমিটি, কাউন্সিলর, গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের আত্মীয়স্বজন, পরিবার-পরিজন, যাঁরাই সেই সময়ে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন, সবই তালিকায় থাকবে।’সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছে যে, নিয়োগ দুর্নীতিতে কারও নাম জড়ালেই তার সঙ্গে গোটা তৃণমূল দলকে দাগিয়ে দেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে। এ নিয়ে কিছুদিন আগেই দলগতভাবে সাংবাদিক বৈঠক করে সরব হয় শাসকদল। বৃহস্পতিবার সেই প্রেক্ষিতের উল্লেখ করেই বাম আমলে নানা সময় যেভাবে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সেদিকে নির্দেশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।