প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- হাইকোর্টের নির্দেশে বিজেপির বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি থেকে অব্যাহতি নিল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার ৫ অগাস্টের বদলে কর্মসূচি গ্রহণ করা হলো রবিবার ৬ অগাস্ট। বুধবার বিধানসভায় একথা জানান রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ।তিনি বলেন,৬ই অগাস্ট রবিবার কলকাতা শহর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ব্লকে ব্লকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।আগামী ৬ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলবে এই কর্মসূচির। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দুই নেতা ফিরহাদ হাকিম ও তাপস রায় জানিয়েছেন, “আমরা রাজনৈতিক দল। আমাদের গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করার অধিকার আছে। তাই অবস্থান বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”গত একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতাদের ‘বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও পর মুহূর্তেই সেই কর্মসূচি খানিকটা বদলের কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতীকী অবস্থানের কথা বলেন তিনি। তবে তৃণমূলের এই কর্মসূচির প্রতিবাদে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। এই কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কলকাতা হাই কোর্টের আপত্তির জেরে দলীয় কর্মসূচির দিনক্ষণ বদলের সিদ্ধান্ত তৃণমূলের।যেখানে যেখানে এই অবস্থান কর্মসূচি করলে দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে সেখানেই সেখানে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে জানালেন ফিরহাদ হাকিম। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছেন তা মেনেই দল কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে, ফিরহাদ জানান।রাজ্যপাল প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন,উপাচার্য নিয়ে রাজ্যপাল যে ভূমিকা পালন করছেন তা সঠিক নয়। রাজ্যের নিজস্ব একটি কমিটি রয়েছে ।প্রয়োজনে রাজ্য পালের সেই কমিটিকে পরামর্শ দিতে পারেন। কিন্তু তিনি তা না করে বিরোধীদের কথা মতই কাজ করছেন, মন্তব্য ফিরহাদের।এম এল এ হোস্টেলের সামনে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ নিয়ে মন্তব্য ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য,এম এল এ হোস্টেলের বিধায়কদের চাকরি দেওয়ার কোন ক্ষমতা নেই ।তাহলে কেন চাকরি প্রার্থীরা সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন। বিরোধীদের ইন্ধনেই এই কাজ করেছে চাকরিপ্রার্থীরা।