দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি চিঠি দেওয়ার ঘটনায় মামলা রুজু করল পুলিশ। শনিবার যাদবপুর থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬, ৫০৯ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।রেজিস্ট্রারের পাশাপাশি যুগ্ম রেজিস্ট্রার সঞ্জয় গোপাল সরকারও হুমকি চিঠি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, সৌরভ চৌধুরীর কিছু হলে দেখে নেওয়া হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তনী সৌরভকে। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় চিঠি পান স্নেহমঞ্জু এবং সঞ্জয়। দু’টি পোস্টকার্ডে লেখা চিঠি দু’টির প্রেরক হিসেবে নাম রয়েছে অধ্যাপক রানা রায়ের। চিঠি দু’টিতে প্রথমেই দু’জনকে লেখার অযোগ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। তার পর হুমকি দেওয়া হয়েছে, “পুলিশ মিথ্যে মামলায় সৌরভকে ফাঁসাচ্ছে। সৌরভ চৌধুরীর গায়ে একটা আঁচড় পড়লে তোমাদের জীবন শেষ করে দেব। রিভলভারের একটি গুলিই যথেষ্ট।” এর পরেই যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনের কাছেই তদন্তকারীরা জানতে চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই নামে কোনও অধ্যাপক রয়েছেন কি না। স্নেহমঞ্জু এবং সঞ্জয় দু’জনে জানান, এই নামে কোনও অধ্যাপক নেই। এর পরেই চিঠির প্রেরকের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।প্রশ্ন উঠেছে, ‘হস্টেল বাবা’ থেকে শুরু করে যাদবপুরের মেন হস্টেলের প্রভাবশালী সৌরভের ‘কুকীর্তি ফাঁস’ হওয়ার পরেও কেন এই বাড়বাড়ন্ত তা নিয়েও। কোনi সাহসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হুমকি চিঠি পাঠানো হতে পারে, তা নিয়েও অবাক হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশ। যদিও এই হুমকি চিঠিকে খুব একটা সাধারণভাবে দেখছেন না তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে সবটা। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর একটি অংশের দাবি, এই চিঠি শুধুমাত্র তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যও হতে পারে। কারা এর পিছনে রয়েছে তার সঠিক তদন্ত প্রয়োজন।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal