প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য – রাজ্যপাল তুমুল সংঘাতের মধ্যেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে মানহানির নোটিশ পাঠালেন ১২ জন উপাচার্য। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন তৃণমূল জমানার উপাচার্যরা। তাঁদেরে দাবি, সম্প্রতি বাংলায় জারি ভিডিয়োবার্তায় তাঁদের সম্পর্কে রাজ্যপাল যে মন্তব্য করেছেন তা মানহানির সামিল। ১৫ দিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রাক্তন উপাচার্যরা।আচার্যের ৭ সেপ্টেম্বরে একটি বক্তব্যের ভিত্তিতে মানহানির নোটিস পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন প্রাক্তন উপাচার্যরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র, দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তাঁরা বলেন, “রাজ্যপাল নিজের বক্তব্যর মধ্যে দিয়ে উপাচার্যদের সম্পর্কে যা বলেছেন তার প্রতিবাদেই চার পাতার নোটিস পাঠানো হয়েছে।” শুধু তাই নয়, রাজ্যপাল ক্ষমা না চাইলে মামলার পথেই হাঁটতে পারেন, সে ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন উপাচার্যরা।সম্প্রতি উপাচার্যদের নিয়োগ নিয়ে বাংলায় জারি এক ভিডিয়ো বার্তায় রাজ্যপাল মন্তব্য করেন, ‘বেশ কিছু উপাচার্যের মেয়াদ আমি বাড়াতে পারিনি। তাঁরা হয় দুর্নীতিগ্রস্ত, নয় ছাত্রীকে হেনস্থায় যুক্ত, নইলে কোনও রাজনৈতিক খেলা খেলছেন। রাজ্যপালের এই মন্তব্যে তাঁদের মানহানি হয়েছে বলে দাবি প্রাক্তন উপাচার্যদের। তাঁদের দাবি, ভিডিয়ো বার্তায় রাজ্যপাল যে দাবি করেছেন তা সর্বৈব মিথ্যা। উপাচার্যদের দাবি, যে উপাচার্যরা রাজ্যপালকে সরাসরি রিপোর্ট পাঠিয়েছেন তাঁদের মেয়াদবৃদ্ধি হয়েছে। যারা বিকাশভবনে রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন তাঁরা বাদ পড়েছেন। রাজ্য – রাজ্যপাল দড়ি টানাটানির মধ্যে গত সপ্তাহে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসেছিলেন প্রাক্তন উপাচার্যরা। তাঁদের দাবি, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল। প্রাক্তন উপাচার্যদের মানহানির চিঠি নিয়ে রাজভবন থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।