দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- পুজোর সময় যতই মানুষের ভিড় হোক না কেন, কলকাতার ট্রাফিক চলাচল মসৃণ রাখতে প্রত্যেক পুলিশকর্মী ও আধিকারিককে নির্দেশ দিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। সেইমতো আগামী কয়েকদিন কাজ করবেন পুলিশকর্মী, আধিকারিকরা। তার উপর ব্যাপক নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে তিলোত্তমা কলকাতাকে। শ্রীভূমি স্পোর্টিং, চেতলা অগ্রণী, সুরুচি সংঘ–সহ নানা দুর্গাপুজোর মণ্ডপে এখনই উপচে পড়ছে ভিড়। সেখানে মহাষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পরিস্থিতি কোন জায়গায় যাবে তা ভেবে কপালে ভাঁজ পড়ছে পুলিশের। দুর্গাপুজোয় আলোয় আলোকিত তিলোত্তমার বুকে ঘুরে বেড়ান অনেকে। রাতভর আড্ডা, খাওয়াদাওয়া চলতে থাকে। তাই আনন্দের উৎসবে নিরাপত্তা জোরদার করতে ময়দানে নামছে কলকাতা পুলিশও। দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে শহরে চলবে কড়া নজরদারি।লালবাজার জানিয়েছে, চতুর্থীর বিকেল থেকে কলকাতায় ট্রাফিক পুলিশ-সহ প্রায় আট হাজার পুলিশ নামবে। পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত রাস্তায় থাকবে ১৪ হাজার পুলিশ। দায়িত্বে থাকবেন ১৮ জন ডিসি, ৮২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ২৩০ জন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক। ৫১টি ওয়াচ টাওয়ারে নাইট বাইনোকুলার নিয়ে নজর রাখবে পুলিশ। সাতটি ঘাটে হবে ওয়াচ টাওয়ার । এছাড়া থাকবে –
কুইক রেসপন্স টিম ১৬টি|
অ্যাম্বুল্যান্স ৩০টি|
ডিএমজি টিম ৩০টি
হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড ১৩টি
পিসিআর ৩০টি |
৯টি মোবাইল পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্ট ভ্যান ও সঙ্গে সিটি ওয়াচ বাইক
২০টি মহিলা পুলিশের ‘উইনার্স’ টিম |
এই বিপুল পরিমাণ পুলিশ কর্মীর পাশাপাশি ১৬ জন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন।
৮২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার থাকছেন। ২০০ জন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার রাখা হচ্ছে নজরদারিতে। ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স শহরে ছড়িয়ে রাখা থাকবে। ১৬টি ক্যুইক রেসপন্স টিম শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মোতায়েন থাকবে। এই বিষয়ে সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একাধিক নেতা–নেত্রী পাইলট লাগিয়ে দুর্গাপুজো দেখতে যান। এটায় আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তার জন্য রাস্তা বন্ধ করা হবে না। কোনওরকম বিশেষ কেয়ার যেন না হয়। আমি যদি কোনও রাস্তা বন্ধ দেখতে পাই তাহলে নিজেই অ্যাকশন নেব।’