প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- দুর্গাপুজোর সময় কলকাতা মেট্রো মানুষের কাছে বড় লাইফলাইন। তার উপর সারারাত খোলা। সুতরাং ভিড় তো উপচে পড়বেই। সেটা হচ্ছেও। দ্রুত এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় পৌঁছতে মেট্রোর উপর ভরসা করতেই হয়। তাছাড়া দুর্গাপুজোর সময় এই পরিষেবা মানুষের কাছে আরও বেশি করে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে মেট্রোয় যাত্রীদের একাংশ বিনা টিকিটে সফর করছেন বলে অভিযোগ। এটা আটকাতে আগেই টিটির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন বিপুল মানুষের ঢেউ আছড়ে পড়েছে মেট্রোতে। তাই বিনা টিকিটে সফর করা বা ঢোকা–বেরোনোর সময় কারচুপি করা রুখতে কড়া হচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।দুর্গাপুজোর সময় একসঙ্গে মেট্রোয় উঠছে অনেকে। আর তারা একসঙ্গে ঢুকে যাওয়ার কারসাজি করে সবাই টিকিট কাটছে না বলে অভিযোগ। একসঙ্গে ৫–৬ জন বা ৭–৮ জন মিলে যাতায়াতের সময় কাটছে অর্ধেক টোকেন। অর্থাৎ ৩টি অথবা ৪টি। তাতে বাকিরাও গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাচ্ছে। এভাবেই ফাঁকি দেওয়া চলছে বলে অভিযোগ। সকলে টিকিট কাটছে না। টোকেন ঠেকিয়ে একসঙ্গে বেরিয়ে যাচ্ছে। একজনের সঙ্গে আর একজন দ্রুত সেখান দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। এই কারণে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ।টোকেন না নিয়ে এমন সফর বাড়ায় চিন্তায় পড়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে কলকাতা মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি ৪টে টিকিট কেটে ৫ জন বেরিয়ে যাচ্ছে। আবার ৫টা টিকিট কেটে ৬ জন বেরিয়ে যাচ্ছে। এই কারসাজি আমাদের নজরে আসছিল। বিভিন্ন ধরণের অনৈতিক পদ্ধতি তারা অবলম্বন করে সফর করছিল। তাই সেটা বন্ধ করার দরকার হয়ে পড়ে। আমরা তাতে সফলও হচ্ছি। যেটা এতদিন ধরে মেট্রোতে ছিল না, সেই টিকিট চেকিং মেট্রোতে চালু করে আমরা সফল।’মেট্রো রেল সূত্রে খবর, টিকিট না থাকা অবস্থায় ধরা পড়লে ২৫০ টাকা জরিমানা করা হবে। তার সঙ্গে যে দূরত্ব অতিক্রম করেছে সেই ভাড়া দিতে হবে যাত্রীকে। এখন রোজ এই ধরণের চেকিং হচ্ছে। যাতে দুর্গাপুজোর সময় বিনা টিকিটে সফর করা আটকানো যায়।