দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-নবমীর আনন্দে বাধ সাধল বৃষ্টি | দুর্গোৎসবের মাঝেই হাওয়া বদলের ইঙ্গিত দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। তার প্রভাবে আজ থেকে তিনদিন বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টি হবে, তেমনই পূর্বাভাস ছিল। তবে দুপুরেই যে আঁধার করে বৃষ্টি নামবে, তা বোধহয় কেউ ভাবেননি। তাই সকাল সকাল প্যান্ডেল হপিংয়ের ভিড় জমেছিল। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা সাড়ে ১২টা পেরতেই ঝমঝমিয়ে নামল বৃষ্টি।
গভীর নিম্নচাপের বর্তমান অবস্থান হচ্ছে দীঘা থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম ৫১০ কিলোমিটার। এর মুভমেন্ট উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৬ ঘন্টায় এটি সাইক্লোনে পরিণত হয়ে বাংলাদেশের দিকে যাবে। ২৫ তারিখ সন্ধ্যার কাছাকাছি বাংলাদেশে উপকূলে আছড়ে পড়বে এই সাইক্লোন। এই সিস্টেমের প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে সরাসরি না পড়বেনা।বুধবার পর্যন্ত এমনই আবহাওয়া থাকবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী ২ দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আজকের মধ্যেই তাঁদের সমুদ্র থেকে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ সমুদ্র ধীরে ধীরে উত্তাল হবে। এর পর ঘূর্ণিঝড় গতিপথ বদলে বাংলাদেশের দিকে সরে যাবে।দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপ-সহ সুন্দরবনের উপকূল এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। বেলা বারোটা নাগাদ ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। হাওয়া অফিসের আগাম সতর্কবার্তা পাওয়ার পর থেকে জেলার কয়েকশো পুজোর উদ্যোক্তা পুজো মন্ডপ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও চিন্তা আরও বাড়লো পুজো উদ্যোক্তাদের। উত্তর ২৪ পরগনাতেও একাধিক জায়গায় বৃষ্টি হয়। কলকাতা, সল্টলেকে ভারী বৃষ্টি হয়।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal