দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-ছাত্রমৃত্যুর পর ক্যাম্পাসের মধ্যে যাতে নতুন করে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে যাদবপুর কর্তৃপক্ষ। এদিকে আজ চলছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচ | মহাযুদ্ধের মহামঞ্চে মুখোমুখি হয়েছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। গোটা দেশের পাশাপাশি বিশ্বকাপ জ্বরে কাবু কলকাতাও। জায়ন্ট স্ক্রিনে খেলা দেখতে পাড়ায় পাড়ায় চলে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এরই মধ্যে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখানোর তোড়জোড় হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও। সূত্রের খবর, স্ক্রিনিং হবে ক্যাম্পাসের চার নম্বর গেটের অদূরে সায়েন্স-আর্টস মোড়ের কাছে ওয়ার্ল্ড ভিউ চত্বরে। সাধারণত যে কোনও ছোটখাটো অনুষ্ঠান, চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় এখানে। কিন্তু, বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো এত বড় ম্যাচ দেখতে যে ভিড় হবে তা বলাই বাহুল্য। তাই সেখানে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে তৎপর বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এই আয়োজনের আগে আয়োজকদের ‘মুচলেকা’ স্বাক্ষর করতে হয়েছে। কর্তৃপক্ষের তরফে একগুচ্ছ শর্ত চাপানো হয়েছে আয়োজকদের উপর। বলা হয়েছে, জমায়েত করা পড়ুয়ারা মদ, মাদক সেবন করতে পারবেন না। পোড়ানো যাবে না বাজি। বহিরাগতদের এই আয়োজনে ডাকা যাবে না। পাশাপাশি মহিলাদের নিরাপত্তার দিকে নজর রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে থাকা পড়ুয়াদের কথা ভেবে এবার ক্যাম্পাসে জায়ান্ট স্ক্রিনে ফাইনাল খেলা দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ভিউয়ের সামনে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখাচ্ছে জেনারেল বডি। সায়েন্স আর্টস মোড়ে ব্যবস্থা করেছে এসএফএসইউ। ইঞ্জিনিয়ারিং স্ডুডেন্টস ইউনিয়ন রুমে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়েছে ফেটসু। তবে এই আয়োজনের অনুমতি চাইতে গিয়ে ‘মুচলেকা’য় স্বাক্ষর করতে হয় আয়োজকদের।
যেখানে বলা হয়েছে,
মদ এবং মাদক সেবন চলবে না।
ওয়ার্ল্ড ভিউয়ের কাছে রাস্তা বন্ধ করা যাবে না।
নিরাপত্তাকর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া যাবে না।
খেলা শেষের ২০ মিনিটের মধ্যে ওয়ার্ল্ড ভিউয়ের সামনের রাস্তা ফাঁকা রাখতে হবে।
বাজি পোড়ানো যাবে না।
মহিলাদের নিরাপত্তার দিকে নজর রাখতে হবে।
বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা।
পাশাপাশি বলা হয়েছে, কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দায়ী থাকবেন মুচলেকায় স্বাক্ষরকারীরা।
আয়োজক ছাত্র সংগঠগুলি জানিয়েছে, “এর আগে এ ধরনের কোনও শর্তাবলীতে স্বাক্ষর করতে হয়নি। এবার সময় একেবারে কম ছিল। সারা সপ্তাহ ছুটি ছিল। শুক্রবার একমাত্র সময় পেয়েছিলাম। এই জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলার দেখার দিকে তাকিয়ে থাকে বহু পড়ুয়া। তাই এবার শর্ত মেনে স্বাক্ষর করে দিয়েছি।”বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় চাই শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে তার জন্যই এটা করা হয়েছে। নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি থাকলে ওঁরা সবকিছু সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে। আমাদের দুঃশ্চিন্তা থাকে না। কিন্তু, এখন তো নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি নেই। তাই নিরাপত্তারক্ষীরা যাতে প্রয়োজন পড়লে সহজেই কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে, তার জন্যই এটা করা হয়েছে।”