দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ফের চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার ধর্মতলা চত্বর। শুক্রবার সাতটি সংগঠনের ডাকে কলেজস্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ছিল মহামিছিল। কিন্তু ডোরিনা ক্রসিংয়ের সামনে আসতেই প্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে পড়লে, তাঁদের টেনে হিঁচড়ে পুলিশ তুলে দেয় বলে অভিযোগ| এদিন কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয় চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল। মিছিলে সামিল হয়েছিল ৭টি সংগঠন। চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে যোগ দেয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও। মিছিল ধর্মতলায় আসতেই ধুন্ধুমারকাণ্ড ঘটে। টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেওয়া হয় আন্দোলনকারীদের। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান চাকরিপ্রার্থীরা। একের পর এক চাকরিপ্রার্থীকে চ্যাংদোলা করে তোলা হয় পুলিশের ভ্যানে। এমনকী সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষকেও আটক করা হয়। নিয়োগ নিয়ে জট কবে কাটবে সেই উত্তর এখনও অধরা। কবে হবে নিয়োগ এই প্রশ্ন তুলে এদিন ফের পথে নামেন তাঁরা। কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে এলেও ধর্মতলার কাছে উত্তেজনা তৈরি হয়। রাস্তা আটকে প্রার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে তাঁদের পুলিশ চলে যেতে অনুরোধ করে। এরপর পুলিশের সঙ্গে প্রার্থীদের উত্তক্ত বাক্য বিনিময় হয়, পরে বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে আটক করে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। যার মধ্যে ছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষও। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি জানতে পেরেছি পুলিশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মদতেই এভাবে আন্দোলন থামিয়ে দিয়েছে। ওনার মদতেই বিক্ষোভে বাধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের আন্দোলন থামবে না।” আন্দোলনকারীদের দাবি, পরীক্ষা, ইন্টারভিউও হয়েছে। কিন্তু আট বছর ধরে কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। সেই সঙ্গে নিয়োগে স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন বউবাজার ক্রসিংয়ে মানিক ভট্টাচার্যের কুশপুতুল দাহ করা হয়।