নিজস্ব সংবাদদাতা :- ‘৩০ থেকে ৩২ লাখে বিক্রি করেছি নিটের প্রশ্নপত্র। পরীক্ষা একদিন আগে এই প্রশ্নপত্র বিক্রি করি আমি।’ জেরার মুখে স্বীকার করল নিট প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড, বিহার থেকে ধৃত অমিত আনন্দ। ধৃত অমিত আনন্দ আরও জানিয়েছে যে, সে ও দানাপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সিকান্দার মিলে এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ষড়যন্ত্র করে।সে গিয়েই সিকান্দারকে জানায় যে, নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দিতে পারবে সে| তারপরই তারা দুজন মিলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের পরিকল্পনাটি করে। এদিকে, বৃহস্পতিবারও নিট পরীক্ষা বাতিল সহ বেশ কয়েকটি আবেদনে সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ে। সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চ সেই সমস্ত মামলাকে এক করে ৮ জুলাই শুনানির জন্য নির্ধারিত করেছে। সেই সঙ্গে রাজস্থান, কলকাতা ও বম্বে হাইকোর্টে জমা পড়া আবেদনের শুনানিতে স্থগিতাদেশ দিয়ে, সেগুলিকেও শীর্ষ আদালতে নিয়ে আসার এনটিএ-র আবেদনে সিলমোহর দিয়েছে। অন্যদিকে, পরিস্থিতি বিচার করে ছাত্রছাত্রীদের দাবির মান্যতা দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হতে পারে কেন্দ্র। সাধারণ পড়ুয়াদের দাবি, ফের নতুন করে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট-আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পরীক্ষা নিতে হবে। যে পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে আগামী ৮ জুলাই সামগ্রিকভাবে শুনানি হবে। তবে ইতিমধ্যেই সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালত নির্দেশ দিলে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক নতুন করে নিট পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানাবে না। সরকারি একটি সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষামন্ত্রক নিট পরীক্ষা আবার নেওয়ার ব্যাপারে রাজি আছে।