Breaking News

বিধাননগর পুর এলাকায় ‘বেআইনি’ হোর্ডিং!কী পদক্ষেপ করেছে পুরসভা? রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- যত্রতত্র লাগানো হচ্ছে হোর্ডিং,
মানা হচ্ছে না কোনও নিয়ম। এমনটাই অভিযোগ বিধাননগরে। বেআইনি হোর্ডিং সংক্রান্ত অভিযোগে কী পদক্ষেপ করেছে বিধাননগর পুরসভা, তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। পুরসভার কাছ থেকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। বেআইনি হোর্ডিংয়ের বিষয়ে পদক্ষেপের কথা পুরসভা থেকে রিপোর্ট আকারে জানাতে হবে আদালতে। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছ থেকেও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে হাই কোর্টে।বিধাননগর এলাকায় বেআইনিভাবে যত্রতত্র হোর্ডিং লাগানো হচ্ছে। হোর্ডিং নিয়ে পুরসভার নির্দেশিকা না মেনেই ওই কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সে কারণে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী দিবায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।মামলাকারীর দাবি, হোর্ডিং থেকে বিপুল পরিমাণে রাজস্ব আসে পুরসভার কাছে। কয়েক হাজার কোটি টাকা আয় হয় পুরসভার। কিন্তু তার পরেও বেআইনি হোর্ডিং নিয়ে বিধাননগর পুরসভা তৎপর নয়। কারণ, কোনও কারণে পুরসভার অনুমতি ছাড়াই হোর্ডিং লাগানো হচ্ছে। ওই সব হোর্ডিংয়ের নির্দিষ্ট কোনও পরিকাঠামো নেই। সেগুলি থেকে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটছে।মামলাকারীর আরও দাবি, ওই এলাকায় কয়েকশো ‘বেআইনি’ হোর্ডিং রয়েছে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে পুরসভার একটি বৈঠকে ১৩০টি এমন বেআইনি হোর্ডিংয়ের কথা স্বীকার করা হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হোর্ডিং নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা থাকা উচিত। এর পরই প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রিপোর্ট তলব করে।এ প্রসঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, হোর্ডিংয়ের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হোর্ডিং নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা থাকা উচিত সর্বত্র। না হলে তা থেকে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকে যায়। বিধাননগর পুরসভার তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, হোর্ডিং নিয়ে তাদের নির্দিষ্ট আইন এবং নির্দেশিকা রয়েছে। এই বিষয়ে অভিযোগ পেলে পুরসভা পদক্ষেপও করে। এরপরেই প্রধান বিচারপতি বিধাননগর পুরসভার হোর্ডিং সংক্রান্ত অভিযোগে মুম্বইয়ের বিলবোর্ডকাণ্ডের প্রসঙ্গ তোলেন। গত মে মাসে মুম্বইয়ের ঘাটকোপর এলাকায় উপড়ে যায় বিশালাকার একটি ধাতব বিজ্ঞাপনের বোর্ড। তাতে চাপা পড়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন প্রায় ৮০ জন। সেই ঘটনার উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘বেআইনি ভাবে হোর্ডিং লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সংক্রান্ত বিষয়ে মহারাষ্ট্রের ঘটনার কথা মনে পড়ছে। পুরসভার বিষয়টি দেখা উচিত।’’ ১৫ অগস্টের পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *