প্রসেনজিৎ ধর, হুগলি:-কিছুদিন আগেই চুঁচুড়া হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রচনা বন্দোপাধ্যায় । সদ্য হুগলির সাংসদ হয়েছেন তিনি। এরপরই তিনি বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করছেন। আর পান্ডুয়া হাসপাতালে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি দেখেই কিছুটা হতবাক অভিনেত্রী তথা সাংসদ রচনা বন্দোপাধ্যায়। তবে এত ভিড় মোটেই পছন্দ হয়নি সাংসদের। ঢুকেই তিনি বলেন, “এত ভিড় কেন? ভিড় কমাতে কী ব্যবস্থা করা উচিত, সেই পরামর্শও এদিন তিনি দিয়েছেন।” রচনা জানান, কলকাতার হাসপাতালে যে রকম ব্যবস্থা হয়, তেমন ব্যবস্থা থাকা উচিত। রচনা পরামর্শ দেন, রোগীর পরিজনদের জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করতে হবে। একজনের বেশি রোগীর কাছে যেতে পারবেন না। জুতো পরে চলাচল বন্ধ করতে হবে। হাসপাতালে গেটে নিরাপত্তারক্ষী বসানোর পরামর্শও দেন তিনি। একমাস পর ফের যাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন রচনা।এদিন রচনা জানিয়েছেন, ৫ বছরে হাসপাতালের পরিস্থিতি উন্নত করার চেষ্টা করবেন তিনি।একজনের জন্য ১০ জন কেন প্রবেশ করবেন, সেই প্রশ্ন করেন রচনা। তিনি উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেন, “আমার মতো একজন আর্টিস্ট যদি বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করে, তাহলেও দুজনকে অনুমতি দেওয়া হয় না। আমি গেলে আমার মা নীচে বসে থাকেন, আর মা গেলে আমি বসে থাকি।” এমন ব্যবস্থাই করার কথা বলেছেন রচনা।পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসাপাতালে গিয়েছিলেন রচনা বন্দোপাধ্যায় । তৃণমূল নেতৃত্বও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। তবে গ্রামীণ হাসপাতালে স্বভাবতই নিয়মের কিছুটা শিথিলতা থাকে। তার উপর বর্ষার দিন। কাদায় কাদায় একেবারে যা-তা অবস্থা। এসব দেখে কার্যত আকাশ থেকে পড়লেন রচনা। সেই সঙ্গেই রোগীর সঙ্গে দেখা করার জন্য একাধিক পরিজন ভিড় জমিয়েছিলেন হাসপাতালে। এটা দেখেই রচনা কলকাতার হাসপাতালের সঙ্গে তুলনা টানার চেষ্টা করেন। পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল নেতা সঞ্জয় ঘোষকে তিনি এদিন দায়িত্ব দিয়ে যান।