প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি মামলায় আবারও জেল হেফাজত হল হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ চার অভিযুক্তের৷ আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার জনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত৷ তবে এদিন সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার অথবা আইনজীবী সন্দীপ ঘোষ সহ কাউকেই হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করেননি ৷এদিন সন্দীপ ঘোষকে আদালতে নিয়ে আসার খবর হতেই ভিড় বাড়তে শুরু করে। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান ওঠে আদালত চত্বরে। সন্দীপ ঘোষের শাস্তি চেয়ে সরব হন বিক্ষোভকারীরা। এমনকী মহিলা আইনজীবীরাও তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন। অবস্থা এমন পর্যায়ে যায় যে শুনানি শেষ হওয়ার পরেও সন্দীপ ঘোষকে আদালত কক্ষ থেকে বের করতে হিমশিম খেতে হয় সিবিআই আধিকারিকদের।
পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে ফেলেন আদালত থেকে বের হওয়ার রাস্তা। বিক্ষোভকারীদের ভিড় বাঁচিয়ে কোনও মতে প্রিজন ভ্যানের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁকে। তখনই সন্দীপ ঘোষকে লক্ষ্য করে উড়ে আসে একটি চটি। কোনও এক বিক্ষোভকারীর ছুডে দেওয়া সেই চটি অবশ্য গায়ে লাগেনি সন্দীপ ঘোষের। তড়িঘড়ি তাঁকে তুলে দেওয়া হয় প্রিজন ভ্যানে। মঙ্গলবার সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতেই চাইল না সিবিআই। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হল সন্দীপ-সহ ধৃত চারজনকে।এদিন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়েছিল সন্দীপ ঘোষ সহ চার অভিযুক্তকে। এখানেই সিবিআই দাবি করেন, আরজি কর কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের যে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে তা থেকে তথ্য পেতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। অর্থাৎ এই সময়টায় তাকে জেল হেফাজতে রাখা যেতে পারে। সিবিআইয়ের আইনজীবীরা কোর্টে জানান, ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আবার তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হতে পারে।