দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্য সরকারকে ‘ডেডলাইন’ দিয়ে শেষপর্যন্ত কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। হুঁশিয়ারি দিলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি আমাদের দাবিগুলি না মানা হয়, আমরা নিজেদের জীবন বাজি রাখব। এই মঞ্চ থেকে আমরা আমরণ অনশনের দিকে এগোব’। দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে শুক্রবার মেট্রো চ্যানেলে অবস্থানে বসে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রশাসন দাবি না মানলে অনশনে পর্যন্ত শুরু হয়ে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্মতলা চত্বরে মঞ্চ বাঁধা নিয়ে পুলিশ–জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। ওই আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। তখনই ধর্মতলার মোড়ে বসে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা।
তবে এবার সরকারকে নিজেদের দাবি পূরণের জন্য ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন বেঁধে দিলেন তাঁরা। এই মুহূর্তে তাঁদের মূল দাবি, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণ। ধর্মতলা থেকে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদারের ঘোষণা, জনতার পক্ষে থেকে কর্মবিরতি তোলা হল। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবিপূরণ না হলে আমরণ অনশনের পথে হাঁটবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন। শুক্রবার সন্ধেবেলা তাঁদের মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় ধর্মতলা চত্বরে। সেখানে মঞ্চ বাঁধা নিয়ে পুলিশ ও জুনিয়র চিকিৎসকদের বচসায় আন্দোলনকারীদের টানাহ্যাঁচড়া করে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই ধর্মতলা মোড়ে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তার ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাস্তার একাংশ। ভোগান্তির শিকার হন পথচলতি মানুষজন। এখান থেকেই অবশেষে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। যদিও নিজেদের দাবি আদায়ে আন্দোলনের রাস্তা থেকে এখনই সরছেন না বলেও জানালেন আন্দোলনকারী চিকিৎসক দেবাশিস হালদার।
এদিন ধর্মতলায় ডোরিনা ক্রসিংয়ে একটি ঘড়ি নিয়ে এসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা বলেন, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্টের পক্ষ থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিচ্ছি। প্রতিটা মিনিট, প্রতিটা ঘণ্টার হিসেব আমাদের। এই ঘড়িতে অবস্থান মঞ্চে রাখব। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি আমাদের দাবিগুলি না মানা হয়, আমরা নিজেদের জীবন বাজি রাখব। এই মঞ্চ থেকে আমরা আমরণ অনশনের দিকে এগোব’।