দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- দুর্গাপুজোর আবহে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে জুনিয়র চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান আন্দোলনে বসার অনুমতি দিল না কলকাতা পুলিশ।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বিচার এবং হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা-সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন চলছে। রাতে এই কর্মসূচির জন্য পুলিশের অনুমতি চেয়ে ইমেল করা হয়েছিল। শনিবার সকালে সেই ইমেলের জবাব দিয়েছে লালবাজার। অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে ডাক্তারদের।লালবাজার থেকে ডাক্তারদের কাছে যে ইমেল গিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘‘শুক্রবার রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ধর্মতলায় ধর্না এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। ট্র্যাফিকের দিকটি মাথায় রেখে সেই আবেদনে সাড়া দেওয়া যাচ্ছে না। এই কর্মসূচির জন্য সাধারণ মানুষের সমস্যা হতে পারে। রাস্তায় দীর্ঘ যানজট তৈরি হতে পারে। পুজোর মুখে ধর্মতলা এলাকায় প্রচুর মানুষ কেনাকাটা করতে যাচ্ছেন। পুজোর প্রস্তুতি পর্বে এখন প্রতি দিনই সেখানে খুব ভিড় হচ্ছে। এ ছাড়া, বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই পুজোর আগে এই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়বেন। এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।’’উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা শুক্রবার রাতেই ঘোষণা করেন, তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরছেন।সেই সঙ্গে, রাজ্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টার চরম সময়সীমা বেঁধে দেন তাঁরা। বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকার যদি তাঁদের দাবিদাওয়া না মানে, তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ততক্ষণ পর্যন্ত ধর্মতলায় তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। এরপরই ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে অবস্থানে বসার অনুমতি চেয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে ইমেল করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেইসঙ্গে, শুক্রবার রাতে ধর্মতলায় পুলিশের হাতে এক জুনিয়র চিকিৎসকের নিগৃহীত হওয়ার ঘটনায় নিঃশর্ত ও লিখিত ক্ষমাপ্রার্থনা করার দাবি জানানো হয়।