প্রসেনজিৎ ধর :-শিয়ালদহ কোর্ট চার্জ গঠন করল সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে। আরজি করের সেমিনার হলে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার জেরে গ্রেফতার করা হয়েছিল সঞ্জয় রায়কে। সঞ্জয় রায়কে প্রথমে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে তাকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হল। সোমবার সেই সঞ্জয় রায়কে তোলা হয়েছিল শিয়ালদা আদালতে। সেখান থেকে ফেরার পথে প্রিজন ভ্য়ানের জানালা দিয়ে কার্যত আর্তনাদ করতে থাকেন সঞ্জয়। বার বার বলতে থাকেন আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে শিয়ালদহ আদালতে। আগামী ১১ নভেম্বর থেকে এই মামলার শুনানি হবে। রোজ হবে এই মামলার শুনানি। কলকাতার হাসপাতালের নৃশংস সেই ঘটনার ৮৭ দিন এবং সিবিআইয়ের চার্জশিট পেশ করার ২৮ দিনের মাথায় চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শেষ হল। এবার শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া। সোমবার দুপুরেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে আসা হয় আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় অভিযুক্তকে। সেখানে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর সঞ্জয়কে ফেরত নিয়ে যাওয়ার সময়ে সে বিস্ফোরক দাবি করে। তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে আমাকে ডিপার্টমেন্ট চুপ থাকতে বলেছে। সরকার আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমি রেপ-মার্ডার করিনি।’ এর আগে একবার আদালত থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের সে বলেছিল, ‘আমি কিছু করিনি।’ তবে সোমবার সবথেকে বড় দাবি করেছে সঞ্জয় রায়। সিবিআই ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ (খুন), ৬৪(১) ধর্ষণ এবং ৬৬ ধারায় চার্জশিট দিয়েছিল। সূত্রের খবর, সোমবার বিচারকের সামনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার। প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনার গ্রেফতারির পর প্রথমে ধৃত বলেছিল, ‘আমিই দোষী, আমাকে ফাঁসি দিন।’ কিন্তু তারপর এক দফার শুনানিতে সঞ্জয় বিচারককে বলেছিল, ‘স্যার আমার কিছু বলার রয়েছে। নয়তো দোষী করে দেবে।’ যদিও সোমবার আর আদালতের চার দেওয়ালের মধ্যে নয়, একেবারে সংবাদমাধ্যমের সামনে চিৎকার করে সঞ্জয় রায়কে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করতে দেখা গেছে।