দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-সঞ্জয় রায়ই ধর্ষক এবং খুনি। আরজি কর মামলায় সিভিক ভলান্টিয়ারকে দোষী সাব্যস্ত করল শিয়ালদহ আদালত। শনিবার শিয়ালদহ অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের আদালত জানিয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সঞ্জয়কে দোষীসাব্যস্ত করা হয়েছে। আগামী সোমবার সাজা ঘোষণা করা হবে। সিবিআই প্রথম থেকেই অভিষুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারের ফাঁসির আবেদন করেছিল। চার্জশিটেও তাঁকে একা দোষী হিসেবে দাবি করেছিল। সেই প্রেক্ষিতেই এদিন শিয়ালদহ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় রায়কে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের পর মৃত্যু) এবং ১০৩ (১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন। সিভিক ভলেন্টিয়ারের ১০ বছর বা ২৫ বছরের জেল , আমৃত্যু কারাবাস এমনকী মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। ২০ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা করবে শিয়ালদহ আদালত। ৯ আগস্ট, কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের নারকীয় ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছিল। ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল হাসপাতালেরই তরুণী চিকিৎসককে। শনিবার সেই মামলায় রায় ঘোষণা করল শিয়ালদহ আদালত। মূল ঘটনার ৫ মাস ৯ দিন পর রায়দান হল।
আরজি কর হাসপাতালের ভিতরেই কর্মরত অবস্থায় ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল ডাক্তারির পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্রীকে। গত ১১ নভেম্বর শিয়ালদহ আদালতে শুরু হয় এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া। অবশেষে শনিবার আরজি করের চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলার রায়দান করল শিয়ালদহ কোর্ট। নির্যাতিতার বাবা-মা অবশ্য সিবিআই তদন্তে খুব একটা খুশি হতে পারেননি। তাঁরা দাবি করে এসেছেন যে, এই ঘটনা সঞ্জয় রায়ের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। সিবিআই মূল দোষীদের আড়াল করছে বলেও সন্দেহ করেছেন তাঁরা। এছাড়া প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের একাংশও মনে করে, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। কিন্তু সিবিআই মনে করেছে, সঞ্জয় একাই দোষী। আর তাঁদের একাধিক রিপোর্টেও বলা হয়েছে যে এই কাজ কারও একার পক্ষে করা সম্ভব।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal