Breaking News

‘গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, অপরাধ করলে ছিঁড়ে যেত!’ আরজি কর মামলায় নির্দোষ হওয়ার ‘যুক্তি’ সঞ্জয়ের

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- শনিবার শিয়ালদহ আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করল সঞ্জয় রায়। শিয়ালদহ অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের আদালতে ১২ মিনিটের শুনানিতে সিভিক ভলান্টিয়ারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। যদিও সঞ্জয় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে। নিজের পক্ষে যুক্তি সাজিয়ে সঞ্জয় বলেছে, ‘আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা আছে। আমি যদি ধর্ষণ করি, তাহলে সেটা ছিঁড়ে গেল না কেন?’ যদিও শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যে প্রমাণ আছে, সেটার ভিত্তিতে সঞ্জয়কে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ) ধারা, ৬৬ ধারা (ধর্ষণের এমন আঘাত করা, যে কারণে মৃত্যু হতে পারে) এবং ১০৩ (১) ধারায় (খুন) দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে। তার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি বা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।সঞ্জয় রায়কে কাঠগড়ায় তোলা হলে বিচারক তার কাছে জানতে চান, এই আদালতের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে কোনও স্থগিতাদেশ রয়েছে কিনা। সঞ্জয়ের আইনজীবী জানান কোনও স্থগিতাদেশ নেই। সঞ্জয় রায়ের কিছু বলার রয়েছে কিনা জানতে চান বিচারক অনির্বাণ দাস। এরপরই তাৎপর্যপূর্ণ উত্তর দেন খুন ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়, বলেন, ‘আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ছিল। ধস্তাধস্তিতে তা ছিঁড়ে যেতে পারত। যাঁরা যাঁরা এই ঘটনায় যুক্ত তাঁদের কেন ছেড়ে দেওয়া হল? প্রশ্ন তোলেন সঞ্জয়। বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে স্যার’।পাল্টা বিচারক জানিয়ে দেন, ‘সিবিআই আপনার বিরূদ্ধে যে যে অভিযোগ এনেছে, যাবতীয় তথ্যপ্রমাণের পরিপ্রেক্ষিতে আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আপনার বাকি কথা সোমবার শোনা হবে।’শনিবার শিয়ালদহ আদালতের ২১১ নম্বর ঘরে বিচারক অনির্বাণ দাসের ভরা এজলাসে দোষী সাব্যস্ত হয় সঞ্জয়। তিনি বলেন, “গৃহীত সাক্ষ্য এবং সিবিআই আইনজীবীরা যা তথ্য প্রমাণ নিয়ে এসেছেন, তাতে আপনার অপরাধ প্রমাণিত। আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। ধর্ষণের অপরাধে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল বা তার বেশিদিনের সাজাও হতে পারে। আপনার আক্রমণে তাঁর মৃত্যু হয়। ৬৬ ধারায অনুযায়ী ২৫ বছর বা তার বেশি অর্থাৎ যাবজ্জীবন পর্যন্ত সাজা হতে পারে। মনে রাখতে হবে, যাবজ্জীবন মানে কিন্তু মৃত্যু পর্যন্ত আপনাকে জেলে থাকতে হবে। যেভাবে আপনি গলা চেপে ধরে খুন করেছেন তাতে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদন্ডেও আপনি দণ্ডিত হতে পারেন।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *