Breaking News

‘বিরল থেকে বিরলতম অপরাধ নয়’ আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায়ের আমৃত‍্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের!

প্রসেনজিৎ ধর :-আরজি কর মামলায় সাজা ঘোষণা করল শিয়ালদহ আদালত। দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হল। গত শনিবার মামলার রায়দানের পর জানা গেছিল সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড এবং সর্বনিম্ন সাজা যাবজ্জীবন হতে পারে। অবশেষে যাবজ্জীবনের সাজা শোনালেন শিয়ালদহ কোর্টের বিচারক অনির্বাণ দাস |সাজা ঘোষণার আগে এদিন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে বারবার নির্দোষ বলে দাবি করে সঞ্জয়। ফের রুদ্রাক্ষ তত্ত্ব খাঁড়া করার চেষ্টা করে সে। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কেঁদেও ফেলে সঞ্জয়। প্রথমার্ধে ৩২ মিনিট শুনানির পর আদালত কক্ষ ফাঁকা করে দিতে বলেন বিচারক অনির্বাণ দাস। দুপুর ২.৪৫ মিনিট বিচারক নাগাদ সাজা ঘোষণা করেন |তিনি জানিয়েছেন, আরজি করের ঘটনাকে ‘বিরল থেকে বিরলতম অপরাধ’ বলে মনে করছেন না। তাই আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে সঞ্জয়কে। সঞ্জয়ের ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। সেইসঙ্গে নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবারকে ১৭ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সঞ্জয় এবং নির্যাতিতার পরিবারের সামনে উচ্চতর আদালতে যাওয়ার সুযোগ আছে। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ইমারজেন্সি ভবনের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়ে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। জানা যায়, নৃশংস ভাবে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে সেই তরুণী চিকিৎসককে। সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয় গোটা দেশ। প্রায় ৫মাস পর, ১৮ জানুয়ারি শনিবার দোষী সাব্যস্ত হয় সঞ্জয় রায়কে। আজ সেই মামলায় সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা করল শিয়ালদহ আদালত। আমৃত‍্যু কারাবাস দেওয়া হল সঞ্জয় রায়কে। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার ৬১দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা হল | চার্জশিটে সঞ্জয় রাইকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬, ১০৩(১) ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই ধারায় চার্জগঠন করা হয়েছে। যে সাক্ষীদের জেরা করা হয়েছে এবং সিবিআইয়ের আইনজীবীরা যা নথি ও তথ্য নিয়ে এসেছেন, তাতে তাঁর অপরাধ প্রমাণিত বলে জানানো হয় রায় ঘোষণার দিন। ৪ নভেম্বর এই মামলায় আদালতে চার্জ গঠন করেছিল সিবিআই। ১১ নভেম্বর মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। আর ৯ জানুয়ারি তা শেষ হয়েছিল।অবশেষে আজ সাজা ঘোষণা করল বিচারক |

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *