প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে । দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছিল তবে বুধবার তা খারিজ করে দিলেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। স্পষ্ট জানালেন, যাদবপুরের বর্তমান পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি নন তিনি। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য রাজ্যকেই পদক্ষেপ নিতে হবে | মামলাকারী আইনজীবী অর্ক নাগের দাবি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি যাতে দূর স্বাভাবিক হয় তার জন্য হাইকোর্ট অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুক। কিন্তু প্রধান বিচারপতির সাফ বক্তব্য, “আইনশৃঙ্খলা দেখার দায়িত্ব রাজ্যের। রাজ্য পুলিশই পরিস্থিতি সামলাবে।” এর পাল্টা আইনজীবী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গেটের মুখে তাদের নিরাপত্তারক্ষী দাঁড় করিয়ে রেখেছে। রাজ্য পুলিশকে ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। প্রধান বিচারপতি আদালতে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন রয়েছে, আর রাজ্যেরও ক্ষমতা আছে। পুলিশ ব্যবস্থা নিক।” তিনি আরও বলেন, “এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। রাজ্যকেই এই পরিস্থিতি সমাধান করতে হবে।”এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিচারপতি বলেন,”নিরাপত্তা পায় এমন ব্যাক্তির কাছাকাছি যদি বিক্ষোভকারীরা চলে আসেন, সেক্ষেত্রে সমস্যা হবে। পরিস্থিতি যেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মতো না হয়।” তাঁর আরও সংযোজন, “এটা যদি উদাহরণ হয় তাহলে কিন্তু গোটা রাজ্যে এটা ছড়িয়ে পরবে। দু’পক্ষকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। মানুষ একবার বিশৃঙ্খল হয়ে পড়লে সামলাতে সময় লাগবে।” সামনেই বিধানসভা ভোট। এমন পরিস্থিতিতে বিশৃঙ্খলা বাড়লে সমস্যা আরও জটিল বলে মত বিচারপতির।প্রধান বিচারপতির যুক্তি, এইসব ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষ হস্তক্ষেপ না করলেই ভাল। তাঁর কথায়, ”বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি-র নির্দিষ্ট নিয়মে চলে। আদালত কি বিশ্ববিদ্যালয়কে বলতে পারে তুমি গেটের চাবি এখন তৃতীয় পক্ষ কাউকে দাও, আর সন্ধেবেলা ফেরত নিয়ে নাও? আমার মনে হয়, নিজে থেকেই সমস্যা মিটে যাবে।” এই বলে তিনি জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শোনার আর্জি খারিজ করেছেন। জানিয়েছেন, স্বাভাবিকভাবে লিস্টে যখন আসবে, তখন শুনবেন।
