দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- যাদবপুর কাণ্ডে আদালতে স্বতি পেলেন না অভিযুক্ত পড়ুয়া উদ্দীপন কুণ্ডু। বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া সম্ভব না। পুলিশ যেমন তদন্ত চালাচ্ছে চালিয়ে যেতে পারবে। পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ ছিল, পুলিশ তদন্তের নামে ডেকে হেনস্তা করছে। মোবাইল ফোন জমা দেওয়ার কথা বলছে।আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘FIR-এ নাম থাকা অভিযুক্তের ক্ষেত্রে তিনি ছাত্র হলেও, তাঁকে কোনও রিলিফ দিলে সেটা খারাপ বার্তা দেবে।’ আইনজীবীদের দাবি, আদালত বোঝাতে চেয়েছে ছাত্র হলেও কোনও অভিযুক্তকে আদালত সুযোগ-সুবিধা দিলে তা সমাজের কাছে ভুল বার্তা তুলে ধরবে। আইনজীবীদের একাংশের মতে, সে ক্ষেত্রে অনেকেই মনে করতে পারেন, আদালতকে অভিযুক্ত ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। যা অভিপ্রেত নয়।কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্ত হিসেবে নাম থাকা ওই ছাত্রকে কোনও রকম স্বস্তি দিলে খারাপ বার্তা যেতে পারে। তাই আদালত এখনই হস্তক্ষেপ করবে না। বিচারপতি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া যাবে না। কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশও দেবেন না তিনি। আগামী ৪ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেই দিন সব পক্ষের হলফনামা চেয়েছে হাইকোর্ট। বুধবার এই মামলার শুনানিতে উদ্দীপন কুণ্ডুর আইনজীবী শামীম আহমেদ জানান, পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করা হচ্ছে। কিন্তু তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে ভুল অভিযোগ উঠছে। তাঁর বক্তব্য, নির্দেশ মেনে মোবাইল জমা করা হয়েছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও অসহযোগিতার অভিযোগ করা হচ্ছে। পরের দিন আবার নোটিস পাঠানো হচ্ছে। এই ইস্যুতে বিচারপতি ঘোষ বলেন, ছাত্রকে যাতে আর মোবাইল না কিনতে হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করবে পুলিশ। দরকারে তা জমা নিলেও ফেরত দিতে হবে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal