দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- নির্দেশ মেনে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে হাজিরা দিলেন চারু মার্কেট থানার ওসি। জানালেন, সবটাই কলেজের ভিতরে ঘটেছে। এদিকে অশান্তির দায় আইন ও ডে কলেজের অধ্যক্ষের কাঁধেই ঠেলল রাজ্য। সাফ জানানো হল, থানায় কোনও অভিযোগই জানানো হয়নি। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, প্রিন্সিপাল নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে এটা ভেবেই ছাত্ররা কলেজে যায়। নিরাপত্তা প্রিন্সিপালের দায়িত্ব। ২ সপ্তাহ পর হবে পরবর্তী শুনানি।বুধবার (১২ মার্চ, ২০২৫) দিনভর অনেক জলঘোলা হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ঘটনা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এদিন (১৩ মার্চ, ২০২৫) কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে স্থানীয় চারু মার্কেট থানার ওসি বা ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে আদালতে তলব করেন বিচারপতি বসু। সংশ্লিষ্ট মামলাটি রুজু করেছেন কলেজেরই এক ছাত্র। বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন সেই মামলাকারীর আইনজীবী অর্ক নাগ। উপস্থিত ছিলেন ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত সাব্বির আলির আইনজীবী পার্থসারথী বর্মন। এছাড়াও, যোগেশচন্দ্র কলেজের তরফেও আদালতে এক আইনজীবীকে নিয়োগ করা হয়। সাব্বির আলির আইনজীবী আদালতকে জানান, বহিরাগতরা কলেজে ঢুকে পড়ুয়াদের জোর করে রং মাখিয়েছেন বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেই ঘটনার সঙ্গে তাঁর মক্কেলের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি সেখানে উপস্থিতও ছিলেন না। যদিও মামলাকারীর আইনজীবীর পালটা দাবি ছিল, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা সকলেই সাব্বির আলির ‘ঘনিষ্ঠ’।এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১ টার মধ্যে চারু মার্কেট থানার ওসিকে আদালতে হাজিরা নির্দেশ দেন বিচারপতি। ওসি সেখানে গিয়ে জানান, সবটা কলেজের ভেতরে ঘটেছে। আইন কলেজের পক্ষের আইনজীবী জানান, তাঁদের সামনে কোনও ঘটনা ঘটেনি। এদিকে রাজ্যের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক আবার দুই কলেজের প্রিন্সিপালকেই নিশানা করেন। বলেন, অধ্যক্ষদের জন্যই এইসব গণ্ডগোল। এরপরই আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, “প্রিন্সিপাল নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে এটা ভেবেই ছাত্ররা কলেজে যায়। এটা প্রিন্সিপালের দায়িত্ব।” থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশকে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপের নির্দেশ দেয় আদালত। ২ সপ্তাহ পর ফের শুনানি।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal