প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য রাজ্য সরকারের তৈরি রিভিউ পিটিশনের খসড়ায় ‘সন্তুষ্ট’ চাকরিহারারা | সোমবার রাজ্যের শিক্ষাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে তাঁরা একপ্রকার স্পষ্ট করে এই কথাটাও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, নতুন করে কেউ পরীক্ষায় বসবেন না।কোনও পরীক্ষা নেওয়া চলবে না। পরীক্ষা ছাড়াই ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের পুনর্বহালের দাবিতে অনড় রইলেন শিক্ষক–শিক্ষিকারা। এসএসসি’র চাকরিহারারা প্রস্তাব দিয়েছেন সিবিআইয়ের উদ্ধার করা ওএমআর শিটের ভিত্তিতে তাঁদের ‘রিপ্যানেলিং’ করতে হবে। আর তাঁদের অভিযোগ, আদালত এই বিষয়ে সুবিচার দিতে পারেনি। তাই এবার আর শুধু আন্দোলন বাংলায় থেমে থাকবে না। আন্দোলন এবার হবে দিল্লিমুখী। আজ, সোমবার শিক্ষাসচিবের সঙ্গে টানা দু’ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা জানালেন আন্দোলনকারী প্রতিনিধিরা।সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য রাজ্য সরকারের তৈরি রিভিউ পিটিশনের খসড়ায় আপাতত সন্তুষ্ট চাকরিহারারা। আজ সোমবার শিক্ষাসচিবের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠকের পর তাঁরা একপ্রকার স্পষ্ট করে এই কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তবে নতুন করে কেউ পরীক্ষায় বসবেন না বলেও তাঁদের অনড় সিদ্ধান্ত। বেশ কদিন ধরেই এই নিয়ে আন্দোলন চলছিল। রাজ্য সরকারকে বৈঠকের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেই মতোই আজ বৈঠক হয়ে গেল। বৈঠকে আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে সেগুলি প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে চাননি চাকরিহারারা।এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের তরফে বৃন্দাবন ঘোষ বলেন, চাকরি ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছি আমরা। নতুন করে নোটিফিকেশনের কথা শুনেছিলাম। এই বিষয়ে আমরা জানতে চাইলে শিক্ষাসচিব জানান সুপ্রিম কোর্টের উপরে কেউ নেই। আমরা প্রশ্ন রাখি রাজ্যের রিভিউ পিটিশিনের আগে কীভাবে নোটিফিকেশন দেওয়া হচ্ছে। আমরা যোগ্যতার নিরিখে চাকরি পেয়েছি, কোনও ভাবেই নতুন করে পরীক্ষায় বসব না। অনেক রোগী আছেন, ক্যানসার পেশেন্ট আছেন, সকলের কথা ভেবে নতুন করে পরীক্ষা দিতে পারব না। নোটিফিকেশন আমরা চাই না।” বৃন্দাবন জানান, তাঁদের দাবি কতটা গ্রাহ্য হবে, সেই বিষয়ে কোনও আশ্বাস দেননি শিক্ষাসচিব।আরও এক আন্দোলনকারী শিক্ষক হাবিবুল্লাহ জানান, “শিক্ষামন্ত্রী থাকলে আলোচনা আরও ভাল হতে পারত। আমরা কোনও সদুত্তর পাইনি। শিক্ষামন্ত্রী কেন দেখা করলেন না, জানি না। তবে আজকের মিটিং কিছুটা সদর্থক।” তিনি এও বলেন, এবার চাকরিহারাদের আন্দোলনের অভিমুখ হবে দিল্লিমুখী।শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এদিনের মিটিংয়ে কেন থাকলেন না, সে ব্যাপারে যেহেতু কোনও সদর্থক উত্তর পাননি চাকরিহারারা, তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রাত্যের সঙ্গে বসতে চেয়ে আবারও চিঠি পাঠাবেন।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal