দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকারের তরফে নতুন করে প্রক্রিয়া চালু হল। শুক্রবার, ৩০ মে শূন্যপদ পূরণের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কিন্তু যাঁরা একবার পরীক্ষা দিয়ে ‘যোগ্যতা’ প্রমাণের পর চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা নতুন করে পরীক্ষায় বসতে নারাজ। বরং তাঁদের দাবি, সসম্মানে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হোক ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের। বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে মোটের উপর তা স্পষ্ট করে দিলেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা। জানালেন, এখনও তাড়াহুড়ো করে ফর্ম ফিলআপ নয়, রাজ্য সরকারের দায়ের করা রিভিউ পিটিশনের শুনানি আগে হোক। তারপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।এ প্রসঙ্গে পুলিশকে কটাক্ষকে চাকরিহারা শিক্ষকরা এও বলেন, “আজ যেভাবে আমাদের আন্দোলন থামাতে পুলিশ শহরজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছিল। এটা যদি আগে চালাতো তাহলে কোনো দুর্নীতিই হতো না। আমাদেরও এভাবে রাস্তায় নামতে হতো না।”চাকরিহারা শিক্ষকরা এও বলেন, “যাঁরা চুরি করে টাকার বিনিময়ে চাকরি পেলো এখনও সরকার তাদের শেল্টার দিচ্ছে। অথচ আমরা যারা পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতার নিরিখে চাকরি পেলাম তাদের পুলিশ মারধর করছে, গ্রেফতার করছে। এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে।” বৃহস্পতিবার রাতে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর শুক্রবার সকাল থেকেই প্রতিবাদ মিছিলের প্রস্তুতি নেন চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা। শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে জমায়েত করে নবান্নমুখী মিছিল করার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু পুলিশ শিয়ালদহেই তাঁদের আটকে দেয়। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ধরপাকড় চলে। দিনভর তাঁদের বিক্ষোভ চলে। শিক্ষকদের উপর পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে। এর প্রতিবাদে রবিবার রাজ্যজুড়ে ধিক্কার মিছিলের ডাক দিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা।
বিকেলে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে থেকে ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সদস্য মেহবুব মণ্ডলরা সাংবপাদিকদের মুখোমুখি হন। স্পষ্ট জানান, ”আমরা এক পরীক্ষার জন্য দু’বার পরীক্ষা দেব কেন? নতুন পরীক্ষার জন্য সময় অনেক কম। যারা নতুন করে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাদের জন্য হয়ত সহজ হবে। কিন্তু আমাদের এখন মানসিক অবস্থা ভালো নয়। সময় কম। অনেকের পরিবারই সমস্যার মধ্যে রয়েছে। তাদের কাছে আবার নতুন করে পরীক্ষা দেওয়া অতটা সহজ নয়।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal