Breaking News

পালিয়েও হল না শেষ রক্ষা!ডোমজুড় পর্ন-কাণ্ডে গল্ফগ্রিন থেকে ধৃত আরিয়ান-সহ ২,শ্বেতার খোঁজে চলছে তল্লাশি

প্রসেনজিৎ ধর :-পর্নকাণ্ড এবং তরুণী নির্যাতনের ঘটনায় পলাতক ছিলেন ডোমজুড়ের বাসিন্দা শ্বেতা খান এবং তার ছেলে আরিয়ান। বুধবার এক সহযোগী সহ অবশেষে গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত তরুণকে। যদিও শ্বেতার খোঁজ চলছে এখনও।বারুইপুর থেকে বোনকে আটক করার পরই দাদা আরিয়ান কোথায় তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আরিয়ানের খোঁজ পায় পুলিশ। তারপরেই বুধবার গ্রেফতার করা হয় আরিয়ানকে |পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করে গল্ফ গ্রিনের একটি হোটেলে হানা দেন গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। সেখানে আরিয়ান খানকে ঘিরে ধরেন তাঁরা। এর পর তাঁকে গ্রেফতার করে বাখরাহাট তদন্তকেন্দ্রের পথে রওনা দেন। তরুণী নিগ্রহের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই গা ঢাকা দেয় আরিয়ান। এরপর ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে সে। যার ফলে তাঁকে ধরতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল পুলিশ আধিকারিকদের। ধৃতকে জেরা করে শ্বেতা খানের অবস্থান জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ফেরার হওয়ার পরও শ্বেতা খানের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল বলে এপ্রকার নিশ্চিত গোয়েন্দারা। একই সঙ্গে আর কত তরুণীর সঙ্গে তারা এই ধরণের নির্যাতন চালিয়েছে তাও জানার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবারই শ্বেতা খানের মাকে আটক করেছিল পুলিশ। তার পরই পাওয়া গেল আরিয়ানের খোঁজ।পুলিশ সূত্রে খবর, মা এবং ছেলে মিলে একটি ভুয়ো ইভেন্ট সংস্থা চালাতেন। সেখানেই চাকরি দেওয়ার নামে ফাঁসানো হত তরুণীদের। সোদপুরের এক তরুণীকে বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে শ্বেতা এবং আরিয়ানের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার পরিবারই তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করে। এই ঘটনার পরই পালিয়ে গেছিলেন মা-ছেলে। তবে শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়ল আরিয়ান। এখন মায়ের খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে পুলিশ।শ্বেতার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মেয়ের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। অনুমান, তিনি জানেন যে শ্বেতা কোথায় গেছেন। এবার ছেলে আরিয়ানকেই জেরা করে মায়ের ব্যাপারে জানতে চাইবে পুলিশ। অনুমান করা হচ্ছে, আরও কিছু কুকীর্তি ফাঁস হতে পারে তাদের। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, শ্বেতা ও আরিয়ান খান বছরে একাধিকবার বিদেশে যেতেন। শ্বেতা মাঝেমধ্যে ব্যাঙ্ককেও যেতেন। ব্যাঙ্ককে শ্বেতার কী যোগাযোগ, সেটা জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কাদের সঙ্গে শ্বেতা ব্যাঙ্ককে যেতেন, কেন যেতেন, এই সবটাই তদন্তকারীদের আতশ কাচের নীচে। এখনও পর্যন্ত তাঁর খোঁজ না মেলায় পুলিশ মনে করছে, ছেলে আরিয়ানকে কলকাতায় রেখেই বিদেশে চলে গেছেন শ্বেতা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *