Breaking News

স্ত্রীর মৃত্যুকালীন জবানবন্দির ভিত্তিতে স্বামীর জেল!যাবজ্জীবন কারাদণ্ডর সাজা দিল চুঁচুড়া আদালত

প্রসেনজিৎ ধর,হুগলি :- স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুন। গৃহবধূর মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে দোষীসাব্যস্ত স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল চুঁচুড়া আদালত। সাজাপ্রাপ্তর নাম সুখরঞ্জন হাওলাদার। চার বছর আগে স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুনের দায়ে বুধবার তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল।সাজা শুনে খুশি মৃতার বাপেরবাড়ির লোকজন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে পাণ্ডুয়া থানার তিন্না এলাকার বাসিন্দা রিনা হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তিন্না হঠাৎ কলোনি এলাকার বাসিন্দা সুখরঞ্জন হাওলাদারের। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মেয়েকে বাপেরবাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য অত্যাচার করতেন সুখরঞ্জন। মৃতার বাবা যতীন হালদারের অভিযোগ, ২০২১ সালের ২১ মার্চ ভোরবেলায় তাঁর মেয়ের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন সুখরঞ্জন। দগ্ধ অবস্থায় গৃহবধূকে প্রথমে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি পুলিশকে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দেন। চুঁচুড়া হাসপাতালেই মারা যান তিনি। মৃতার বাবা পাণ্ডুয়া থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্য সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ। ৯০ দিনের মাথায় চার্জাশিট জমা দেওয়া হয়। প্রথমে মামলা তিনি দেখছিলেন। পরে সেই মামলা প্যানেল সরকারি আইনজীবী প্রশান্ত আগরওয়াল করেন। বুধবার চুঁচুড়ার তৃতীয় দায়রা আদালতের বিচারক কৌস্তভ মুখোপাধ্যায় সুখরঞ্জন হাওলাদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন।এদিন আদালতে এসেছিলেন রিনার বাবা যতীন হালদার। আদালতের রায়ের পর তিনি বলেন, “আমার মেয়েকে পুড়িয়ে মেরেছিল। জামাই তাঁর পাপের সাজা পেয়েছে।” কথা বলতে গিয়ে গলা বুজে আসছিল তাঁর।একাধিক সাক্ষ্য ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে চুঁচুড়ার তৃতীয় দায়রা আদালতের বিচারক কৌস্তুভ মুখোপাধ্যায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। এদিন তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনালেন বিচারক।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *