নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা :- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের মৃত্যুর ঘটনায় এ বার পুলিশের দ্বারস্থ পরিবার। সোমবার মৃতার বাবা যাদবপুর থানায় যান। মেয়ের মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সূত্রের খবর, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে মৃতার পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করছে পুলিশ।লালবাজারে গিয়ে সোমবার পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন মৃতার বাবা-মা। পরিবারের তরফে অভিযোগ, নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে মনে করছেন না তাঁরা। এরপরই এদিন যাদবপুর থানায় হাজির হন বাবা-মা। সেখানেই তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের জলাশয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়েরই ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বিভাগের ছাত্রীর অচৈতন্য দেহ উদ্ধার হয়। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মেয়েটির শরীরের বাইরে কোনও আঘাত ছিল না। জলে ডুবে গিয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ ছিল রিপোর্টে। সহপাঠীদের তরফে জানা গিয়েছিল, মেয়েটি ইউনিয়ন রুম লাগোয়া শৌচালয়ে গিয়েছিলেন। সে সময়েই পড়ে যান জলাশয়ে। অনুমান করা হচ্ছে, মদ্যপান করে থাকায় পা পিছলে গিয়ে থাকতে পারে মেয়েটির। তবে তিনি আদৌ নেশাগ্রস্ত ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে ভিসেরা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এদিকে, মেয়েটির বাবার দাবি, স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। খুন করা হয়েছে মেয়েকে। বাবার বক্তব্য, ‘এটি স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে না। প্লেন মার্ডার করা হয়েছে। যে মেয়ে অন্ধকারকে ভয় পায়, যে একটা পোকা দেখলে ঘরের মধ্যে লাফালাফি করত, সে একা একা অন্ধকারে ওখানে যেতে পারে না। ওঁর ফোনের কল লিস্ট খতিয়ে দেখলে হয়তো পাওয়া যাবে কার কার সঙ্গে কথা বলেছিল।’এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, এদিনও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কী উঠে এসেছে তা জানা যায়নি। শহরের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) বলেন, “পরিবার অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়েছি। নিয়মের মধ্যে যা যা করা দরকার সব কিছুই করা হবে।” পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ (১), ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে অজ্ঞাত পরিচয়ে ব্যক্তির বিরুদ্ধে।অনামিকার বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে কেউ ধাক্কা দিয়েই ঝিলের জলে ফেলে দিয়ে থাকতে পারেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুরের চার নম্বর গেটের সামনের পুকুর থেকে অনামিকার দেহ উদ্ধার হয়। এই মৃত্যু নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কিছুটা হলেও স্পষ্ট হয় মৃত্যুর কারণ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে অনামিকা। তবে কীভাবে তিনি পুকুরে পড়ে গেলেন, তা স্পষ্ট নয়|
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal