Breaking News

মর্মান্তিক মৃত্যু গায়ক জুবিন গর্গের, শোকস্তব্ধ সঙ্গীত মহল!জুবিনের মৃত্যুতে শোকবার্তা মমতা-মোদির

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-প্রয়াত জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী জুবিন গর্গ। সূত্রের খবর, সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করছিলেন জুবিন। সেই সময় আচমকাই দুর্ঘটনা ঘটে। সমুদ্র থেকে তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আইসিইউ-তে ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত প্রয়াত হন অসমের জনপ্রিয় শিল্পী। সিঙ্গাপুরে ‘নর্থইস্ট ফেস্টিভ্যাল’-এ যোগ দিতে গিয়েছিলেন বিখ্যাত গায়ক। ২০ সেপ্টেম্বর এবং ২১ সেপ্টেম্বর পারফর্ম করার কথা ছিল তাঁর। গায়কের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ বিনোদন দুনিয়া।তাঁর বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। জানা গেছে,স্কুবা ডাইভিং করার সময় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা শুরু হয় গায়কের। আইসিইউ-তে ভর্তি করা হলে দুপুর আড়াইটা নাগাদ মৃত বলে ঘোষণা করা হয় শিল্পীকে। শোকপ্রকাশ করে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, “অসমের বড় ক্ষতি। ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না জ়ুবিন আমাদের কাছে কী ছিল। যে শূন্যস্থান রেখে গেল তা পূরণ করা অসম্ভব।”তাঁকে ‘প্রিয় ভাই’ বলে সম্বোধন করে এক্স হ্যান্ডলে আবেগপ্রবণ পোস্ট করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় তিনি লিখলেন, ‘সুরে থেকো। তুমি আমাদের হৃদয় থাকবে। তোমার গান অমর হয়ে থাকবে। গান আমাদের লড়তে শেখায়, বিশ্বাস রাখতে শেখায়। তোমার সুরের ধারা প্রবহমান থাকুক।’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও শোকপ্রকাশ করেছেন। এক্স হ্যান্ডলে তিনি অসমিয়া ভাষায় লিখেছেন, ‘জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জুবিন গর্গের আকস্মিক মৃত্যুতে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি। সঙ্গীত ক্ষেত্রে আপনার অবিস্মরণীয় অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আপনার গান সকলের কাছে অতি প্রিয়। আপনার পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। ওম শান্তি!’

মেঘালয়ের তুরায় জন্ম হয় জুবিনের। তিন বছর বয়স থেকেই সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ শুরু করেন জুবিন। মায়ের কাছেই তাঁর প্রথম গান শেখা। পরে ১৯৯২ সালে পেশাগতভাবে গান গাওয়া শুরু করেন তিনি। অহমিয়া সিনেমার পাশাপাশি বাংলা সিনেমাতেও প্রচুর গান গেয়েছেন জুবিন। সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘মন মানে না’, ‘পিয়া রে’ তাঁর জনপ্রিয় গান। বলিউডে প্রীতমের হাত ধরে ‘গ্যাংস্টার’ ছবির ‘ইয়া আলি’ গান হইচই ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশে। বহুবার নানা কারণে বিতর্কেও জড়িয়েছেন জুবিন। নেশাগ্রস্ত হয়ে মঞ্চে গান গাওয়ার কারণে বহুবার বিপাকেও পড়েছিলেন গায়ক। দারুণ শিল্পী হয়েও অনেকেই মনে করতেন জুবিনের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন তাঁকে ঠেলে দিচ্ছিল অন্ধকারে।জুবিনের হঠাৎ এই মৃত্যুতে স্তম্ভিত সংগীত মহল। বাংলা, হিন্দি ও অহমিয়া তিন ভাষাতেই শ্রোতাদের মন জিতেছিলেন জুবিন। জুবিনের মৃত্যু নিঃসন্দেহে ভারতীয় সঙ্গীত জগতে এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি করবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *