দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-আলোর উৎসবের দিন আচমকা বলিউডে নেমে এল তীব্র শোকের ছায়া। প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা আসরানি। ৮৪ বছর বয়সে, দীর্ঘদিনের অসুস্থতার পর, সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বর্ষীয়ান শিল্পীর মৃত্যুর খবরে সিলমোহর দিয়েছেন তাঁর ভাইপো অশোক আসরানি। কয়েকদিন ধরেই বুকে ব্যথার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিনেতা। আসরানির আপ্ত সহায়ক বাবু ভাইয়ের কথায়, “চার দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল আসরানিজিকে। তাঁর ফুসফুসে জল জমেছিল। টানা চার দিনের চিকিৎসার পর আজ দুপুরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।”অভিনেতার পুরো নাম, শ্রী গোবর্ধন আসরানি হলেও, তিনি বলিউডে পরিচিত ছিলেন আসরানি নামেই। জন্মগতভাবে রাজস্থানের জয়পুরের বাসিন্দা তিনি। পড়াশোনা করেছেন, জয়পুরের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে। বলিউডের কমেডি সিনেমায় আসরানির অবদান ভোলবার নয়। বুদ্ধিদীপ্ত কথা, অনবদ্য সংলাপ বলার ভঙ্গিমায় তিনি মানুষকে হাসাতে পারতেন অবলীলায়। দীর্ঘদিন ধরে হিন্দি সিনেমায় একের পর এক তাঁর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। দর্শকদের মনে পাকাপাকি জায়গা করে ফেলেছিলেন আসরানি। কেরিয়ারের সুবর্ণ সময় কাটিয়েছেন, ১৯৭০ সাল নাগাদ। সেই সময়ে, ‘মেরে আপনে’, ‘কোশিস’, ‘বাওয়ার্চি’, ‘পরিচয়’, ‘অভিমান’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘ছোটি সি বাত’, ‘রাফো চক্কর’-এর মতো একাধিক বড় বড় সিনেমায়, গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন পাকাপাকিভাবে। বিভিন্ন সিনেমায় তাঁর অভিনয়, সংলাপ বলা, সব মিলিয়ে দর্শকদের মনে তা পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিয়েছিল। অভিনয়ের পাশাপাশি, পরিচালনাতেও নিজের ছাপ রেখেছিলেন আসরানি। কেবল পার্শ্বচরিত্র নয়, একাধিক সিনেমায় মুখ্যভূমিকায় অভিনয় করেছেন আসরানি, পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার ও। ১৯৭৯ সালে ‘সালাম মেমসাব’ ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন তিনি। শুধু বলিউড নয়, গুজরাতি সিনেমাতেও একের পর এক কাজ করে গিয়েছেন আসরানি। তাঁর সিনেমা দর্শকদের মধ্যেও ভীষণভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। শেষবার তাঁকে দেখা গিয়েছিল, ‘ধামাল’ ফ্রাঞ্চাইজির সিনেমায় কাজ করতে। তবে অসুস্থতার কারণে জীবনের শেষের দিকে রুপোলি পর্দা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হয়েছিল। বাড়িতেই থাকতেন অভিনেতা। আজ অভিনেতার পরিবারের তরফ থেকে অভিনেতার মৃত্যুসংবাদ জানানো হয়।বলিউডের অনেকেই শোকবার্তা জানিয়েছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতার চলে যাওয়ার খবর পেয়ে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal