নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :- ভয়াবহ স্মৃতি নিয়ে আর দক্ষিণ কলকাতার ওই ল’কলেজে পড়তে যেতে চান না নির্যাতিতা ছাত্রী। চলতি বছরের ২৫ জুন তাঁর নিজের কলেজের ক্যাম্পাসেই গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ওই পড়ুয়া। যা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। তার কিছুদিনের মধ্যেই ছিল পরীক্ষা। মনের জোরে সেই পরীক্ষা তিনি দিয়েছিলেন।কিন্তু দ্বিতীয় বর্ষে ওই কলেজে আর পড়তে চান না নির্যাতিতা। ইতিমধ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে লিখিত ভাবে ওই ছাত্রী কলেজ পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে আপত্তি না করলেও বিশ্ববিদ্যালয় এখনও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ্যপাল নিযুক্ত ভিসি শান্তা দত্ত দে বলেন, ‘আমাদের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এটি একটি বিশেষ ঘটনার প্রেক্ষিতে আবেদন। আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করব।’দু’মাস আগে, ২৫ জুন। প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী কলেজে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও আর বাড়ি ফিরছিলেন না। পরে থানায় গিয়ে ওই ছাত্রী নিজেই জানান, কলেজেরই এক অস্থায়ী কর্মী তাঁকে ধর্ষণ করেছে। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা শহর জুড়ে। প্রাথমিকভাবে প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় বসতে চাননি নির্যাতিতা। পরে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের তরফে তাঁর ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয়। তার পরেই নাকি তিনি পরীক্ষা দিতে রাজি হন। এরপর জানা যায়, নির্যাতিতা প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছেন। তবে কলেজে নয়, দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজের তরফে বাইরে আলাদা জায়গায় তাঁর জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু এর পর থেকে সেই কলেজ চত্বরে পা ফেলতে নারাজ ছাত্রী।নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, মেয়েটা এমনিতেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আবার সেই একই জায়গায় গেলে আঘাতটা আরও গভীর হবে। তাই চাই না ও ওই কলেজে যাক। কলেজ বদলের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal