Breaking News

হেনস্থার শিকার হয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ, লেখেন চিঠিও! ভাইফোঁটার দুপুরে উদ্ধার তরুণীর দেহ,আটক ১ মহিলা

প্রসেনজিৎ ধর, হুগলি:- টার্গেট পূরণের চাপ সহ্য করতে না পেরে চন্দননগরে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন যুবতী। ২ দিন পর ভাইফোঁটার দুপুরে শ্রীরামপুরে মিলল দেহ। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃত্যুর আগে তরুণী একটি চিঠি লিখেছিলেন, যেখানে দাবি করেছিলেন এই চরম সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কর্মস্থলের চাপ। পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে মৃতার দেহের ময়নাতদন্ত হবে। চন্দননগর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু করেছে। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে আটক করা হয়েছে মমতা দাস নামে এক মহিলাকে। মানালি যে দোকানে কাজ করতেন, সেই দোকানের মালিকেরই স্ত্রী মমতা। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে চিঠি লিখে নদীর পারে সেটা মোবাইল চাপা দিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন চন্দননগরের বৌবাজার বটতলার বাসিন্দা বছর পঁচিশের মানালি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেন্ট জোসেফ কনভেন্ট স্কুলের ঠিক উল্টো দিকে (পাতালবাড়ির কাছে) গঙ্গায় ঝাঁপ দেন ওই যুবতী। পরে তাঁর পরিচয় জানা যায়। নদীর পারে পাওয়া যায় তাঁর মোবাইল এবং একটি চিঠি। পুলিশ মনে করছে, সেটি সুইসাইড নোট। তাতে কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার কথা লেখা ছিল।প্রসঙ্গত, চন্দননগর বউবাজার শীতলাতলার বাসিন্দা সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে রেজিস্ট্রি বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল মনামীর। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক বিবাহ হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই এই ঘটনা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *