দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগে কোনওপ্রকার দুর্নীতি হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টে এমনই সওয়াল করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত বলেন, ‘‘৩২০০০ নিয়োগ কোনও দুর্নীতি হয়নি। শুধুমাত্র ৩৬০টি নিয়োগে অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে।’’রাজ্যের তরফে বলা হয়, ২৬৪ জন প্রশিক্ষিতের টেট উত্তীর্ণ মার্কস নিয়ে ত্রুটি আর ৯৬ জন প্রশিক্ষিতর চাকরি বাতিল করে বোর্ড নিজেই। ৯৬টি চাকরির সুপারিশ ছিল না বোর্ডের।একইসঙ্গে রাজ্যের দাবি, এস বসু রায় কোম্পানি বোর্ডের হয়ে কার্যত ছাপাখানার(প্রিন্টিং) কাজ করেছে। পরীক্ষার্থীদের নম্বর দিয়েছে পরীক্ষকেরা। সেই নম্বর বা ডেটাগুলো প্রিন্টিং এর কাজ করেছে এস বসু রায় কোম্পানি।রাজ্যের দাবি, “২০১৬ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার সংশোধিত আইন অনুযায়ী চূড়ান্ত মেধাতালিকা তৈরি করেছে বোর্ড। জেলা প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলগুলি সেই তালিকা বোর্ডের কাছ থেকে পেয়ে জেলাভিত্তিক ফল প্রকাশ করেছে। কোথাও দুর্নীতি হয়নি।” মামলায় রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন,”কিছু পদ্ধতিগত ত্রুটি বা অনিয়ম ছিল যা শুধরে নেওয়া হয়।২০২৩ সালের ১২ মে হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৪২৫০০ জন শিক্ষকের মধ্যে চাকরিচ্যুত হন প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষক। প্রাক্তন বিচারপতির রায় ছিল, চাকরি বাতিল হলেও ওই শিক্ষকেরা স্কুলে যাবেন। তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে রাজ্যকে। সেখানে যোগ্য এবং উত্তীর্ণদের চাকরি বহাল থাকবে। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ। তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে। তবে একই সঙ্গে ওই ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ মতো নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্ষদকে শুরু করতে হবে। হাইকোর্টের ওই দুই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য এবং পর্ষদ। সেখানে আবেদন জানান চাকরিহারাদের একাংশ।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal