Breaking News

অবিলম্বে ডাকা হোক জিএসটি পরিষদের বৈঠক, সংবিধান স্মরণ করিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি বাংলার অর্থমন্ত্রীর!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- কেন গত ছ’মাসে একটিও জিএসটি পরিষদের বৈঠক ডাকা হল না?এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি দিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র| কেন্দ্র যে জিএসটি পরিষদ নিয়ে অসাংবিধানিক পদক্ষেপ নিচ্ছে কার্যত সেই কথাও নির্মলাকে মনে করিয়ে দিয়েছেন অমিত মিত্র | করোনা আবহে রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা জরুরি | তাই দাবি তুলেছেন প্রয়োজনে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই দ্রুত জিএসটি পরিষদের বৈঠক ডাকা হোক |জিএসটির আইন অনুযায়ী প্রতি তিন মাস অন্তর জিএসটি পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা | কিন্তু কোভিড আবহে গত বছরের অক্টোবর মাসের শেষ দিকে শেষবার এই বৈঠক হয়েছিল | তারপর বিগত ছ’মাসের মধ্যে একবারও এই পরিষদের বৈঠক বসেনি| এমনকী ভার্চুয়াল বৈঠকও হয়নি | যার তার জেরেই জিএসটির আইন তথা সংবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে বলে দাবি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের | প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংবিধানের ২৭৯এ অনুচ্ছেদ মেনেই গঠিত হয়েছে জিএসটি পরিষদ | সংবিধানের নিয়ম মেনে বছরে চারবার পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা | কিন্তু সেই বৈঠক ছ’মাসে একবারও না হওয়াটা একেবারেই কাম্য নয় বলেই এদিন তাঁর চিঠিতে জানিয়েছেন অমিত | তাঁর মতে, ভবিষ্যতে যেন নিয়মিত বৈঠক ডাকা হয় | অন্যথায় কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে আস্থার জায়গাটি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে | অমিতবাবু তাঁর চিঠিতে পরিষ্কার লিখেছেন, সংবিধানের ২৭৯এ অনুচ্ছেদে কী লেখা রয়েছে | মনে করিয়ে দিয়েছেন, সেখানে লেখা ছিল ‘প্রতিটি অর্থবর্ষে অন্তত ত্রৈমাসিক সময়কালে একবার করে বৈঠকে বসবে পরিষদ | এমনটা না হলে তা ষুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর নীতিবিরুদ্ধ বলে তা পরিগণিত হবে | তিন মাস অন্তর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক না ডাকা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আঘাত করার সমান, এ ব্যাপারে আপনিও নিশ্চয়ই সহমত |’সেই সঙ্গে তাঁর চিঠিতে অমিত মনে করিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যগুলির প্রাপ্য জিএসটির ক্ষতিপূরণ খাতে ঘাটতি বর্তমান অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২১-২২ সালে ১.৫৬ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে | তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কার কথা সেই হিসেবে নেই তা ধরলে ওই অঙ্ক আরও বাড়বে| চিঠির শেষাংশে অমিতবাবু উল্লেখ করেছেন, রাজ্যগুলির উদ্বেগজনক আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে অবশ্যই আলোচনা হওয়া উচিত ওই বৈঠকে |

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *