নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগণা :- ফের গণধর্ষণের ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগণার দেগঙ্গায় | বুধবার রাতে দেগঙ্গায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ৩ যুবকের বিরুদ্ধে | ঘটনাটি জানাজানি হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। রাতেই পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা | গ্রেফতার করা হয়েছে ২ অভিযুক্তকে।নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটি দশম শ্রেণিতে পড়ে| বাবা মারা গিয়েছেন আগেই | মা কোনও রকমে সংসার চালান | বুধবার সন্ধ্যায় এক দর্জির বাড়িতে মায়ের পাওনা টাকা আনতে গিয়েছিল সে | অভিযোগ, বাড়ি ফেরার সময় রাস্তা থেকেই তাকে তুলে নিয়ে যায় রাহান সর্দার, মুস্তাকিন মণ্ডল এবং এক নাবালক | হালোখোলার এক আমাবাগানে পুকুরের ধারে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে তারা বলে অভিযোগ | তারপর সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তেরা | কোনওরকমে সেখান থেকে বাড়ি ফিরে মেয়েটি পুরো ঘটনা তার দিদিকে জানায় | এরপর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়ায় | নাবালিকার পরিবার সোহাই শ্বেতপুর থানায় তিন জনের নামে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে| রাতেই ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছয় | দেগঙ্গার এসডিপিও সৌম্যজিত্ বড়ুয়া, আইসি অজয়কুমার সিংহও চলে আসেন | নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে রাহান সর্দার এবং এক নাবালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ | তবে আর এক অভিযুক্ত মুস্তাকিন মণ্ডল পলাতক | রাতেই ধৃতদের জেরা করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে জানতে পারে, মূল চক্রী মুস্তাকিন | পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে | তার অবস্থা স্থিতিশীল| এই ঘটনায় গণধর্ষণের পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধি পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ | গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রামবাসীরা নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন | পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বৃহস্পতিবার বারাসাত জেলা আদালতে পেশ | উল্লেখ্য, গত দশদিনের মধ্যে পরপর দুটি গণধর্ষণের ঘটনার সাক্ষী রইল দেগঙ্গা এলাকা |