প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-আবার বিচারপতির এজলাসের বাইরে অবস্থান–বিক্ষোভ আইনজীবীদের। এমন দৃশ্য ২০২২ সালের শেষেও দেখা গিয়েছিল। এবার নতুন বছরের শুরুতেও একই দৃশ্য দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টে। আজ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের অবস্থান–বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। এমনকী এজলাসের বাইরে গেট আটকে আদালত বয়কট করেন আইনজীবীরা। তাতে স্তব্ধ হয়ে যায় বিচারপতি মান্থার বেঞ্চে বিচারের কাজ। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বয়ং বিচারপতি।কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের একাংশের অবস্থান বিক্ষোভ দেখ গেল এদিন। এজলাসের বাইরে গেট আটকে কোর্ট বয়কট করেন আইনজীবীদের একাংশ। এর ফলে স্তব্ধ হয়ে যায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে বিচারপ্রক্রিয়া। ইতিমধ্যেই বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য। কীভাবে এক জন বিচারপতির এজলাসের বাইরে ধর্না দিয়ে প্ল্যাকার্ড তুলে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের ১৩ নম্বর কক্ষে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে বয়কট করা হয়। আর তা নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য। এভাবে একজন বিচারপতির এজলাসের বাইরে ধর্না–বিক্ষোভ দেখানো নিয়ে চর্চা শুরু হয়।
তখন সেই ছবি তুলে ধরেন আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী। এমনকী আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য প্রধান বিচারপতির এজলাসে গিয়ে বিষয়টির নিন্দা করেন। তাঁর আবেদন, বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে ডেকে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি তোলা হোক। তাহলেই মিটবে সমস্যা।কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ঘটনাটি নিয়ে বলেন, ‘এটা হওয়া উচিত নয়। সব তথ্যপ্রমাণ নিয়ে এলে বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে ডেকে পাঠাবো। গোটা বিষয়টি আমরা দেখেছি।’ তারপরই প্রধান বিচারপতি বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ডেকে পাঠান।