প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের নয়া নাম উঠে এল। তাঁর মাধ্যমেই আর্থিক লেনদেন হতো বলে দাবি করেছেন হুগলির ধৃত ছাত্রনেতা কুন্তল ঘোষ । বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালত থেকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে যাওয়ার পথে কুন্তলের মুখে শোনা গেল হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। এদিন আদালত চত্বরে তিনি প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় জানিয়ে দেন, তদন্ত ঘোরানোর জন্য এসব বলে লাভ নেই। কোনও রহস্যময়ী নারী নয়, টাকা আছে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি হলেন গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গাঙ্গুলির স্ত্রী। সব টাকা আছে গোপাল দলপতি ও তার স্ত্রীর কাছে। এটাই তদন্তে উঠে এসেছে। এটা আপনাদের বলে দিলাম। ওদের কাছেই সব রয়েছে। যা জানে হৈমন্তী গাঙ্গুলি।
কখনও প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় কখনও আবার প্রিজন ভ্যানের ভেতর থেকে তিনি এদিন বার বার হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেন। তৃণমূলের যুব নেতা থেকে পর্ষদ সভাপতি ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। একের পর এক ব্য়ক্তিকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একদিকে তাপস মণ্ডল সংবাদমাধ্যমের সামনে কালীঘাটের কাকুর নাম ফাঁস করেছেন। সেই কাকু সুজয় ভদ্রকে ঘিরে গোটা বঙ্গবাসীর উৎসাহ একেবারে তুঙ্গে। তখনই তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ এদিন আচমকাই নতুন এক মহিলার নাম সামনে আনলেন। তিনি হলেন হৈমন্তী গাঙ্গুলি। কে তিনি? তার পরিচয়টাও খোলসা করে দিয়েছেন কুন্তল নিজেই। কুন্তলের দাবি তিনি হলেন গোপাল দলপতির স্ত্রী। আবার গোপাল দলপতি হলেন তাপস মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ। সূত্রের খবর, হৈমন্তীর একটি কোম্পানি রয়েছে। তবে গোপাল ইতিমধ্যে দাবি করেছেন তার সঙ্গে বছর তিনেক ধরে হৈমন্তীর যোগাযোগ নেই।