দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ২০১৬ প্রাথমিক টেটের ভিত্তিতে নিযুক্ত ৪২,৫০০ শিক্ষকের বিস্তারিত পর্ষদের কাছে চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট আকারে এই তথ্য পেশ করতে হবে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওদিকে বুধবারই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। তাতে মানিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বেই দুর্নীতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।২০১৬ ও ২০২১ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ হয়েছিল। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ইন্টারভিউর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই সংক্রান্ত এক মামলায় বুধবার নয়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে ইন্টারভিউর মাধ্যমে কারা চাকরি পেয়েছেন, তাদের নাম-জাতি-ফোন নম্বর-স্কুলের নাম জানাতে হবে। পাশাপাশি, মেধা তালিকায় কাদের নাম ছিল, তার বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন বিচারপতি। জানতে চাওয়া হয়েছে বিভিন্ন জেলার কাট অফ মার্কসও। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে এই রিপোর্ট জমা করতে হবে পর্ষদকে।২০১৪ সালে প্রাইমারি টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্যানেল তৈরি করে নিয়োগ শুরু হয়। চাকরির আবেদন জানিয়ে মামলা করেন ১৪০ জন অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী। তাঁদের দাবি, সেই সময়কার নিয়ম অনুযায়ী অপ্রশিক্ষিতদের নিয়োগ করা যেত। প্রায় ৩২ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী ২০১৬-র নিয়োগপ্রক্রিয়ায় নিয়োগপত্র পেয়েছেন। মামলাকারীদের আরও অভিযোগ, সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে নম্বর বিভাজন-সহ তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে যে মামলাকারীদের থেকেও কম নম্বর পেয়ে অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী সুপারিশপত্র পেয়েছেন। এইপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৪২ হাজার ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিল করার হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় |বুধবার সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা রিপোর্টে সিবিআই দাবি করেছে এই দুর্নীতি হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে। যদিও মুখ খুলছেন না তিনি। সঙ্গে সিবিআইয়ের প্রশ্ন ২ দফায় মানিকের মেয়াদবৃদ্ধির পিছনে কী কারণ রয়েছে তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।