প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ ববিতা সরকার। আবারও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা দায়ের করলেন চাকরিহারা স্কুলশিক্ষিকা। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।আদালতের নির্দেশে শিক্ষিকা পদে চাকরি পেয়েও পরে আদালতের নির্দেশেই চাকরি বাতিল হয়েছিল তাঁর। এবারও সেই চাকরি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা। তবে এবার আর তিনি তাঁর প্রতিপক্ষ কাউকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাননি। তিনি এবার তাঁর চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার পেছনে অন্য একটি বিশেষ যুক্তিকে সামনে আনতে চাইছেন।গত বছরের জুলাই মাসে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ বেআইনি বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন শিলিগুড়ির ববিতা সরকার।
তাঁর বক্তব্য ছিল, ওই চাকরির যোগ্য দাবিদার তিনিই, মন্ত্রীকন্যা ক্ষমতা দেখিয়ে তা দখল করেছেন। উচ্চ আদালতে ববিতার অভিযোগ প্রমাণের পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি খারিজ হয় অঙ্কিতার। সেই জায়গায় চাকরি পান ববিতা। শুধু তাই নয়, অঙ্কিতার ৪৩ মাসের বেতনের টাকাও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেই টাকা ববিতাকে দেওয়া হয়।ববিতা চাকরি পাওয়ার কয়েকমাস পর তাঁর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই পদের অন্যতম দাবিদার অনামিকা রায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, ববিতার প্রাপ্ত নম্বর ৬০ শতাংশ নয়। অথচ তিনি ৬০ শতাংশ লিখেছেন ফর্মে। তাতেই ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর বেড়ে গিয়েছে। হিসেবমতো ববিতার থেকে নম্বর বেশি অনামিকার। ফের শুরু হয় মামলা। যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে ববিতা সরকারের সুপারিশপত্র বাতিল করে পর্ষদ। ফলে ববিতা সরকারও চাকরি হারান। সেই চাকরি পান অনামিকা রায়।বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেন ববিতা। কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। তারই মাঝে ফের নতুন করে আদালতের দ্বারস্থ ববিতা সরকার। ২০১৬ সালের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র এবং বিস্তারিত মেধাতালিকা প্রকাশের আবেদন জানান তিনি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। শুক্রবার মামলার শুনানি হতে পারে।