দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে সুহৃতা পালকে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের এই সিদ্ধান্তের পরই এবার আইনি পদক্ষেপের পথে সদ্য অপসারিত উপাচার্য। রাজভবনের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অপসারিত উপাচার্য সুহৃতা পাল। স্বাস্থ্যসচিব, বিশেষ সচিব (স্বাস্থ্য), বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ওএসডি (জয়েন্ট সেক্রেটারি) রাজভবনকে পক্ষ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। আগামী সোমবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মামলার শুনানির সম্ভাবনা।জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে অরাজকতা। এর বিরুদ্ধে চিকিৎসক সংগঠনের যৌথমঞ্চের তরফে দেওয়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যসচিবকে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টও দিতে বলেন রাজ্যপাল। গত ৬ অগাষ্ট রাজভবনের তরফ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিল কেন উপাচার্যকে সরানো হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC)-র নিয়ম মেনে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হননি বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপাচার্যের থেকে জবাব তলব করেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। কেন তিনি এখনও উপাচার্য পদে, সেই প্রশ্ন তুলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্যের জবাব তলব করেছিলেন রাজ্যপাল বোস। জানা যাচ্ছে, উপাচার্যের জবাবে সন্তষ্ট হননি আচার্য। আর এরপরই উপাচার্যকে সরানোর কথা স্বাস্থ্যসচিবকে জানিয়ে দেয় রাজভবন। ইউজিসি’র যে নিয়মটি মানা হয়নি বলে রাজভবনের বক্তব্য, তা হল সার্চ কমিটিতে ইউজিসি’র কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। ফলে ইউজিসির নিয়ম না মানা আদালত অবমাননার সামিল বলে বক্তব্য রাজভবনের।আর এদিকে রাজভবনের এই পদক্ষেপের পরই সটান কলকাতা হাইকোর্টে হাজির স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য অপসারিত উপাচার্য সুহৃতা পাল।