দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়ে জটিলতা কাটার মুখে। ক্যামেরা বসানোর খরচ বাবদ প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করতে চলেছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। নবান্ন সূত্রে খবর, বিষয়টি অর্থ দপ্তরের বিচারাধীন ছিল। অর্থ দপ্তর সবুজ সংকেত দেওয়ার ফলে এই অর্থ বরাদ্দে কোনও বাধা রইল না।যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ২০ দিন পরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো নিয়ে জটিলতা অব্যাহত ছিল। অন্তবর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ দাবি করেছিলেন, “ওয়েবেলের মতো নামী সংস্থা টালবাহানা করছে কিনা,সেটা তো আমার দেখার কথা নয়।” তারপরই শিক্ষা দফতর অনুদান মঞ্জুর করে। কোথায় কোথায় সিসিটিভি বসানো হবে, তা নিয়ে এক প্রস্থ আলোচনা হয়েছে। তবে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব হয়নি। তারপরই শিক্ষা দফতর অনুদান মঞ্জুর করে। কোথায় কোথায় সিসিটিভি বসানো হবে, তা নিয়ে এক প্রস্থ আলোচনা হয়েছে। তবে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব হয়নি।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা খরচে বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি ক্যাম্পাস ও হস্টেল মিলিয়ে মোট দশটি জায়গায় ২৬টি সিসি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বেশ কয়েকদিন আগেই। গত শুক্রবার ‘ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেড’কে ওয়ার্ক অর্ডারও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। তখনই উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছে সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুর করার আবেদন করে চিঠিও পাঠানো হয়। তারপরই উচ্চশিক্ষা দপ্তর তৎপরতা শুরু করে। এবার অর্থ দপ্তরের তরফে মঞ্জুরিও মিলল।উল্লেখ্য, প্রথম বর্ষের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় পরিকাঠামোগত ও প্রশাসনিক ফাঁকফোঁকরের দিকগুলি চিহ্নিত করতে গত ১৭ আগস্ট একটি চার সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছিল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর। মঙ্গলবার যাদবপুরে যায় সেই কমিটির তিন সদস্য। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব চন্দ্রানী টুডু, ডিরেক্টর অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশন জয়শ্রী রায়চৌধুরি ও উচ্চশিক্ষা সংসদের মেম্বার সেক্রেটারি শিবাজী ঘোষ প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর ক্যাম্পাস ও মেন হস্টেল পরিদর্শন করেন তাঁরা। সিসি ক্যামেরা কোথায় বসানো হচ্ছে, সেসব নিয়েও খোঁজখবর নেন তারা। তারপরই অর্থবরাদ্দ করল অর্থদপ্তর।