দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি ছাত্রী। বাড়িতে জানিয়েছিল পাশ করেছে। তাই নিয়ে মানসিক চাপে আত্মঘাতী হল ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা গড়িয়ায়। মৃত ছাত্রীর নাম স্নেহা মুন্ডা। গড়িয়ার ফ্ল্যাট থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ওই পড়ুয়া যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ছাত্রী।উচ্চমাধ্যমিকের টেস্টে পাশ করতে পারেনি। টানাটানির সংসারে মা কষ্ট করে ফর্ম ফিলাপের টাকা জোগাড় করেছিলেন। কিন্তু টেস্টে পাশ না করায় ফর্ম ফিলাপ অর্থহীন হয়ে পড়ে। আর সেই টাকা ফেরত না দিয়ে বিরিয়ানি কিনে খেয়েছিল যাদবপুর বিদ্যাপীঠের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী। আর তা নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি হওয়ার পর অভিমানে আত্মঘাতী হল ছাত্রী। গড়িয়ায় ফাঁকা বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তার ঝুলন্ত দেহ। তদন্তে নেমেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। গড়িয়ায় মা ও বোনের সঙ্গে থাকত স্নেহা। বাবা মারা গিয়েছেন আগেই। সংসার চালাতে মা কাজ করেন। স্নেহার পড়াশোনার টাকা জোগাড় করতেন কষ্ট করেই। আগামী বছর উচ্চমাধ্যমিক দেবে স্নেহা। ফর্ম ফিলাপের টাকা মেয়ের হাতে দিয়েছিলেন মা।কিন্তু টেস্টের ফলাফল বেরলে দেখা যায়, স্নেহা পাশ করতে পারেনি। অর্থাৎ পরের বছর তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসা অনিশ্চিত। ফর্ম ফিলাপের টাকাও তাই আর দরকার ছিল না। কিন্তু সেই টাকা মাকে ফেরত না দিয়ে তা দিয়ে বিরিয়ানি কিনেছিল স্নেহা। খুব ভালোবাসত সে বিরিয়ানি খেতে। তাই টাকা হাতে পেয়ে আর বিরিয়ানি না কিনে থাকেনি। কিন্তু প্রিয় বিরিয়ানি খাওয়ার পরই মর্মান্তিক ঘটনা। মায়ের বকা খেয়ে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়।